বৃহস্পতিবার ক্লিভল্যান্ডে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের শেষ দিনে মনোনয়ন গ্রহণ করেন ট্রাম্প। মনোনয়ন গ্রহণের ঘোষণা দিতে গিয়ে দেওয়া ভাষণে নিজেকে মার্কিন জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে উপস্থাপন করেন তিনি। ট্রাম্প দেশ থেকে অপরাধ ও সহিংসতা দূর করার প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন তিনি। ট্রাম্প আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর স্থাপন এবং অভিবাসন আইন জোরালো করবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ করে ফেলেছেন দাবি করে সমালোচনা করেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডে কুইক এ্যান্ড লোনের কনভেনশন সেন্টারে বিভিন্ন রাজ্যের রিপাবলিকান দলীয় ডেলিগেটদের সমর্থন পান ট্রাম্প। অবশ্য দলের অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা সরে দাঁড়ানোর পর এবং প্রাইমারি ও ককেসাসে প্রয়োজনীয় সমর্থন নিশ্চিত করার পর আগেই ট্রাম্পের মনোনয়ন নিশ্চিত হয়ে ছিল। রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন লাভের জন্য দলের এক হাজার ২৩৭ জন ডেলিগেটের সমর্থন প্রয়োজন হয়। কিন্তু ট্রাম্প প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সংখ্যক ডেলিগেটের সমর্থন পেয়েছেন।
নির্বাচনি প্রচারণায় নামার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রাসী মন্তব্য করে সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প সিরিয়া-ইরাক সহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বহুদিন থেকেই সমালোচিত হয়ে আসছেন। গত নভেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেন। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। নিজ দেশ এমনকি নিজের দল রিপাবলিকানের সদস্যদের পক্ষ থেকেও ওই বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়।
/এফইউ/