ডন

হাসপাতালে হত্যাযজ্ঞের পর স্তব্ধ কোয়েটা

ডনের প্রথম পাতাপাকিস্তানের কোয়েটার হাসপাতালে সোমবারের আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০০ জন। এরইমধ্যে এ ঘটনায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর একাংশ এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ দুই জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকেই হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) এ খবরটিকেই প্রধান শিরোনাম করেছে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানভিত্তিক তালেবান ধারার জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর একাংশ জামায়াত-উর-আহরার ইমেইলের মাধ্যমে হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটির মুখপাত্র এহসানুল্লাহ এহসান ইমেইলে দায় স্বীকার করে লিখেছেন,‘তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান জামায়াত-উর-আহরার এই হামলার দায় স্বীকার করছে। আর সামনেও এমন হামলা চালানো হবে। শিগগিরই আমরা এই ঘটনার ওপর একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করব।’

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে ডনের খবরে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটও (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটির কথিত বার্তা সংস্থা আমাক নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, “ইসলামিক স্টেট-এর এক ‘শহীদ’ কোয়েটা শহরে বিচার মন্ত্রণালয়ের চাকরিজীবী এবং পুলিশ সদস্যদের এক জমায়েতে নিজের সঙ্গে থাকা বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।”

সোমবার ভোরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে বেলুচিস্তান বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিলাল আনোয়ার কাসি নিহত হন। তার মরদেহ কোয়েটার ওই হাসপাতালেই রাখা ছিল। হাসপাতালে বিলালের মৃতদেহ দেখতে আইনজীবীরা উপস্থিত হওয়ার পরই হাসপাতালের অভ্যন্তরে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর বেশ কিছু গুলির শব্দও শোনা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই আইনজীবী বলে জানা গেছে। এদিকে, পাকিস্তান বার কাউন্সিল (পিবিসি) এ হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক সপ্তাহ শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে। লাহোর হাইকোর্টের আইনজীবীরাও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন।

/এফইউ/