গত মাসে লেবার পার্টির অন্যতম প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি (এনইসি) এর পক্ষ থেকে ভোটারদের ব্যাপারে জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, ১২ জুলাই পর্যন্ত লেবার পার্টির যেসব সদস্যের সদস্য পদের মেয়াদ অন্তত ছয় মাস হয়ে কেবল তারাই ভোট দিতে পারবেন। পরে লেবার পার্টির পাঁচ সদস্য ১ লাখ ৩০ হাজার নতুন লেবার সদস্যদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে নামেন। অবশেষ আদালত তাদের পক্ষেই রায় দিলো। বাদী পক্ষের আইনজীবী কেট হ্যারিসনের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়,‘লেবার পার্টির সংবিধান মোতাবেক ভোটাধিকার প্রশ্নেই এ মামলাটি করা হয়েছিল। লেবার পার্টির সংবিধান অনুযায়ী, সব সদস্য সমান ও মূল্যবান।’
উল্লেখ্য,দলের তৃণমূল কর্মীদের নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে লেবারদের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন করবিন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের আলাদা না হওয়ার পক্ষে অর্থাৎ ‘রিমেইন’ শিবিরের হয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন তিনি। তবে ব্রিটিশ জনগণের রায় এর বিপক্ষে যাওয়ার পর দলীয় নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন এ লেবার নেতা।
দুই সপ্তাহ আগে এমপিদের মনোনয়ন ছাড়াই দলীয় নেতৃত্বের নির্বাচনের ব্যালটে করবিনের নাম রাখার জন্য এনইসির আবেদনের পক্ষে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। এর মধ্য দিয়ে নেতৃত্বের প্রশ্নে আইনি লড়াইয়ের প্রথম দফায় জয় নিশ্চিত করেন তিনি। এবারের রুলেও করবিনই সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আদালতের এ রুলের কারণে লেবার পার্টির নতুন সদস্যদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণে তাই বলা হয়েছে, আদালতের রুল নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় করবিনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
/এফইউ/