ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

যেন শ্রীনগরের পথ ধরছে দিল্লি!

 


nonameগন্তব্য শ্রীনগর। যেতে পারেন সব দলের প্রতিনিধি। যেতে পারেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। সবমিলে যেন শ্রীনগরের পথ ধরছে দিল্লি।

বেশ কয়েকটি দলের দাবির মুখে বুধবার ভারতের কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, তারা শুক্রবার (১২ আগস্ট) সব দলের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মিরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করবে। কেন্দ্র সরকার ইতোমধ্যে জম্মু-কাশ্মিরের সব প্রধান রাজনৈতিক দল, ‘মডারেট’ এবং ‘অন্যান্য সংগঠন’-এর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে।
বুধবারের এই খবরটিকেই প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং রাজ্য সভায় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই আলোচনায় যোগ দিতে পারেন। তিনি আরও জানান, বিরোধী দল দাবি জানিয়েছে, সকল পার্টির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল কাশ্মিরে পাঠানোর। কিন্তু ওই সফর সফল করার জন্য তার আগে কিছু কাজ করে নিতে হবে।
আলোচনা প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং বলেন, ‘সকল প্রধান রাজনৈতিক দল, ‘মডারেট’ এবং ‘অন্যান্য সংগঠন’-এর সঙ্গে আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত। আর আমরা (জম্মু-কাশ্মিরের) মুখ্যমন্ত্রীকেও এ বিষয়ে জানাবো। যার সঙ্গেই কথা বলা দরকার, আপনি তা শুরু করুন। আমরাও কথা বলতে প্রস্তুত। আমাদের সবাইকে এই আলোচনায় অংশ নেওয়া উচিত। এজন্যই আমি বলেছি, আমরা একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল কাশ্মিরে পাঠানোর কথা ভাবছি।’
তবে কাশ্মিরের অবস্থার জন্য তিনি আঙ্গুল তুলেছেন পাকিস্তানের দিকেই। রাজনাথ বলেন, ‘কাশ্মিরে যা হচ্ছে, তা পাকিস্তানের ইন্ধনেই হচ্ছে।’
কাশ্মিরের বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা বললেও পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ রাজনাথ সিং। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে যদি আলোচনা হয়, তবে তা কাশ্মির সম্পর্কিত হবে না। তা হবে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের বিষয়ে।’ তিনি কাশ্মিরকে ভারতের ‘অবিচ্ছেদ্য’ অংশ বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘বিশ্বের কোনও শক্তি কাশ্মিরকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।’

রাজনাথ সিং দাবি করেন, ‘কখনও কখনও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর পতাকা উড়তে দেখা যায় কাশ্মিরে। আইএস কি করেছে? এই সংগঠনটি মুসলিমদেরও হত্যা করেছে। আমি (কাশ্মির) উপত্যকার তরুণদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ইসলামে অপরকে হত্যা করা, শিরশ্ছেদ করার অনুমোদন নেই। যেসব মানুষ ওইসব দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে, তারা ইসলামের নাম খারাপ করছেন।’

তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের কথা আমি বলতে যাইনি, কিন্তু তবুও বলতে হচ্ছে... ভারতের মাটিতে এই স্লোগান দিতে দেওয়া হবে না। আমি কাশ্মিরের জনগণের কাছে আহ্বান জানাই, যেসব মানুষ এরকম কাজ করছে, তাদের থামান।”

 /এসএ/বিএ/