ডন

কাশ্মিরে গণভোটের আহ্বান ওআইসির

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের সংকট নিরসনে গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে ৫৭টি মুসলিম দেশের সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)। একই সঙ্গে সংগঠনটির পক্ষ তেকে কাশ্মিরের জনগণের ইচ্ছাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে। এ আহ্বান জানিয়েছেন ওআইসি মহাসচিব আইয়াদ আমিন মাদানি। রবিবার পাকিস্তানের অন্যতম দৈনিক পত্রিকা ডন খবরটি শিরোনাম প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করেছে।

শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান মাদানি। ওআইসি মহাসচিব জানান, কাশ্মির সঙ্কট একটি গণভোটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর সেই গণভোটকে জনগণের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটানোর পথ মনে করছেন তিনি। মাদানি সংকট উত্তোরণের গোটা প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের মধ্যস্ততাও চেয়েছেন।  

ওআইসির মহাসচিব জানান কাশ্মিরের সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগ ও রাজনৈতিক পর্যায়ে সমাধানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন,  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলা। দুর্ভাগ্যক্রমে ভারতীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে অল্প কয়েকটি দেশই কথা বলছে।

মাদানি বলেন, কাশ্মিরের পরিস্থিতি গণভোটের দিকে এগুচ্ছে। গণভোট নিয়ে কারও ভয় পাওয়া উচিত নয় এবং কাশ্মিরি জনগণের ইচ্ছায় জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংকটের সমাধান হওয়া উচিত।

মাদানি কাশ্মির ইস্যু সমাধানে ওআইসি কাজ করতে আগ্রহী এবং এক্ষেত্রে পাকিস্তানের পূর্ণাঙ্গ সমর্থণ কামনা করেন। তিনি বলেন, ওআইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাশ্মির বিষয়ে একজন উপদেষ্টা ও একটি সমন্বয় গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাঠানো হবে।

মাদানি আরও বলেন, যখন দখলকৃত কাশ্মিরের প্রসঙ্গ আগে তখন শুধু বিবৃতিই যথেষ্ট নয় এবং চুপ থেকে এ বিষয়ে রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়।

মহাসচিব আশা প্রকাশ করেন, ওআইসির পরবর্তী সম্মেলন পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ জানান, কাশ্মির ইস্যুতে ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে তার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।

গত ৮ জুলাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হিজবুল মুজাহেদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিহতের পর সারা কাশ্মিরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে। এরপরই সেখানে কারফিউ জারি করা হয়। শনিবার ৪৩তম দিনের মতো কারফিউ চলছে। শ্রিনগর জেলার ও কাশ্মিরের দক্ষিণের দুটি শহরে কারফিউয়ের কারণে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। টানা ৪৩ দিনের বিক্ষোভে অন্তত ৬৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

/এএ/