দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের নতুন গভর্নর উর্জিত প্যাটেল

ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর রঘুরাম রাজন মেয়াদ শেষে পদত্যাগ করে শিক্ষকতায় ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই জল্পনা চলছিল পরবর্তী গভর্নর কে হবেন তা নিয়ে। শেষপর্যন্ত চার ডেপুটি গভর্নরের অন্যতম উর্জিত প্যাটেলকে পরবর্তী গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি। রবিবার ভারতের অন্যতম দৈনিক পত্রিকা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস খবরটি প্রধান শিরোনাম প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করেছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের ২৪তম গভর্নর হিসেবে উর্জিত প্যাটেল আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে তিন বছরের জন্য দায়িত্ব নেবেন।

৫২ বছরের এই অর্থনীতিবিদ ২০১৩ সাল থেকে শীর্ষ ব্যাংকের ‘মনিটরি পলিসি’ বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। রঘুরাম রাজনের এই মূল্য বৃদ্ধি বেঁধে দেওয়া ও ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রকল্পে উর্জিত বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। উর্জিত প্যাটেলের মানি মার্কেট সংক্রান্ত অর্থনৈতিক পদক্ষেপ অনেক সময়ই বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থার সমালোচনার সম্মুখীন হলেও এই অর্থনীতিবিদকে অর্থনৈতিক দুনিয়া নির্ভরযোগ্য বলেই মনে করে থাকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন ফিন্যান্সিয়্যাল সেক্টর রেগুলেটরি অ্যাপয়েন্টমেন্টস সার্চ কমিটির (এফএসআরএএসসি) সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কমিটি বেশকিছু বিষয় যাচাই-বাছাইয়ের পর সম্ভাব্য নতুন গভর্নরের নামের একটি প্যানেল তৈরি করে ও তা অ্যাপয়েন্টমেন্টস কমিটি অব ক্যাবিনেটের (এসিসি) কাছে পেশ করে।

৫২ বছর বয়সী উরজিত প্যাটেল ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন ও এমফিল সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া তিনি ইয়েলে ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

বর্তমান গভর্নর রঘুরাম রাজনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৪ সেপ্টেম্বর। কিছুদিন আগেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে রিজার্ভ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর রঘুরাম রাজন তার সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে এক চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন যে, তিনি আর এই পদে থাকতে চান না। বরং তিনি শিক্ষাক্ষেত্রেই ফিরতে চান।

রাজনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অনেকে মত প্রকাশ করলেও তার বিরুদ্ধে বিজেপির একাংশ তীব্র আক্রমণ চালিয়েছিল। তাতে খানিকটা বিরক্ত হয়েই রাজন আগেভাগেই দ্বিতীয় মেয়াদে আর থাকতে চান না বলে জানিয়ে দেন। তারপর থেকেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তার উত্তরসূরি খোঁজা শুরু হয়েছিল।

/এএ/