সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় সাদ্দার এলাকায় অবস্থিত এআরওয়াই নিউজ-এর কার্যালয়ে হামলা হয়। পুলিশের দাবি, এমকিউএম-এর কর্মীরা পুলিশ কর্মকর্তা এবং এআরওয়াই-এর কার্যালয় লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে। এআরওয়াই কার্যালয়ের বাইরে গুলিও ছুড়তে থাকে তারা। এআরওয়াই কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা তাদের কার্যালয়ের ভেতরে এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা এমকিউএম-এর সদস্য বলেও দাবি করে এআরওয়াই।
পরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ শুরু হলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। জিন্নাহ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল সেন্টার (জেপিএমসি)-এর ইমার্জেন্সি বিভাগের প্রধান সিমিন জামালি বলেন ‘অন্তত একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহতও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নিহতের নাম আরিফ সাইদ বলে জানিয়েছেন জামালি।
বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, সোমবার সকালের দিকে এমকিউএম-এর প্রধান আলতাফ হুসেইন টিভি চ্যানেলগুলোর কার্যালয়ে হামলা চালানোর জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এআরওয়াই এর উপস্থাপক কাশিফ আব্বাসি বলেন, ‘হামলাকারীরা মুত্তাহিদার কর্মী। আলতাফের নির্দেশ পাওয়ার দশ মিনিটের মধ্যেই আমাদের অফিসে হামলা হয়েছে।’
তবে এ অভিযোগকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে এমকিউএম এর নেতা আলি রাজা আবিদি এক টুইট করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ‘গত তিন বছর ধরে অসহিংস বিক্ষোভ করে আসছে এমকিউএম। ফাওয়ারা চক এলাকায় আগে থেকে উপস্থিত থাকা মুখোশধারীরা এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকতে পারে’।
এমকিউএম-এর নেতা ওয়াসাই জলিল দাবি করেছেন, এমকিউএম-এর নেতারা যখন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিল তখন হঠাৎ করে পুলিশ গুলি ছুড়তে শুরু করে।
/এফইউ/