দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

করাচি’র মেয়র নির্বাচিত হলেন ওয়াসিম আখতার

Express Tribune

পাকিস্তানের করাচি’র মেয়র নির্বাচিত হলেন এমকিউএম নেতা ওয়াসিম আখতার। কারাগারে থেকেই নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। এ বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার শিরোনাম করেছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য  এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

রাষ্ট্রদ্রোহ এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে সম্প্রতি ওয়াসিম আখতারকে কারাগারে পাঠানো হয়। ডেপুটি মেয়র হয়েছেন তার সহযোগী আরশাদ ভোহরা।

বুধবার সিন্ধুর স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে করাচিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে পাকিস্তানের সিন্ধুভিত্তিক রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)।

নবনির্বাচিত মেয়র ওয়াসিম আখতার এর আগে এমপি ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সম্প্রতি দলের প্রধান আলতাফ হোসেন-এর এক মন্তব্যের জেরে নতুন করে আলোচনায় আসে সিন্ধুভিত্তিক রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)।

করাচি প্রেসক্লাবে বিক্ষোভকালে দলীয় প্রধান আলতাফ হোসেন সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি পাকিস্তানকে ‘পুরো বিশ্বের জন্য ক্যান্সার’ বলেও স্লোগান দেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে হামলার উস্কানি তৈরির অভিযোগও করা হয়। এক পর্যায়ে সোমবার এআরওয়াই-নিউজে হামলা চালায় এমকিউএম কর্মীরা। সে সময় তারা ‘বিতর্কিত’ স্লোগানও দেয়। এরপর এমকিউএম-এর সব অফিস বন্ধ করে দেয় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। রাতেই ফারুক সাত্তার, খাজা ইজহার, আমীর লিয়াকতসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী এমকিউএম নেতা-কর্মীদের আটক করে সামরিক বাহিনী।

দলীয় প্রধান আলতাফ হোসেনের ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য এবং সংবাদমাধ্যমে হামলার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানা গেছে। রাতভর আটক থাকার পর মঙ্গলবার মুক্তি পান সাত্তার ও অন্যান্য নেতারা। তারপরই দলীয় প্রধান সমগ্র পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চান।

দলীয় মুখপাত্র ওয়াসায় জলিলের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সেনাপ্রধান রাহীল শরীফ এবং ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) র‍্যাঞ্জারস মেজর-জেনারেল বিলাল আকবরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এমকিউএম প্রধান আলতাফ হোসেন। আলতাফ বলেন, ‘হৃদয়ের গভীর থেকে আমি আমার বক্তব্যের জন্য জেনারেল রাহীল, ডিজি র‍্যাঞ্জারসসহ সমগ্র পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে ছিলাম বিচারবহির্ভুর আটকের বিষয়ে, আর আমার কর্মীরা অনশন কর্মসূচী চালাচ্ছিল। এমন অবস্থায় আমি ওই মন্তব্য করেছি।’

/এমপি/