পিকেকে’র হামলায় বিরোধীদলীয় নেতা কামাল অক্ষত রয়েছেন। তবে তার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বৃহস্পিতবার দুপুরে তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কামাল কিলিকদারোগলু’র গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে পিকেকে সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। তবে এ সময় তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর বেস্টনীতে ছিলেন। ফলে সন্ত্রাসীরা খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি।
কামাল কিলিকদারোগলু তুরস্কের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা সাভসেট থেকে ব্লাক সাগরীয় প্রদেশের আরদানাক এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় তার গাড়িবহর সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। হামলার পরপরই কামাল কিলিকদারোগলুসহ তার সহকর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কামাল কিলিকদারোগলু বলেন, ‘আমি ভালো আছি, আমাদের জন্য চিন্তা করবেন ন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত থাকবে।’
হামলার পরপরই আঙ্কারায় এ ঘটনায় পিকেকে বিদ্রোহীদের দায়ী করেন তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী কুর্দি বিদ্রোহী পিকেকে’র বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
বিরোধীদলীয় নেতা কামাল কিলিকদারোগলু’র ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান, প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম, স্পিকার ইসমাঈল কাহরামান ও বিচারমন্ত্রী বাকির বুজদাজ।
/এমপি/