ডন

কাশ্মির নিয়ে আলোচনায় বিদেশি কূটনীতিকদের গুরুত্বারোপ

ডনদক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতাকারী প্রধান দেশ হিসেবে পাকিস্তানকে ভারত অভিযুক্ত করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসলামাবাদে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছে পাকিস্তান। বৈঠকে কাশ্মির বিরোধ নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব যে দিল্লি খারিজ করে দিয়েছে, সে বিষয়ে অবহিত করা হয়। শনিবার পাকিস্তানের অন্যতম ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা খবরটি প্রধান শিরোনাম প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করেছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ জাতিসংঘের ৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের জানান, কাশ্মির সমস্যা নিয়ে আলোচনার পাকিস্তান প্রস্তুত। ভারত-পাকিস্তান আলোচনার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের উদ্যোগকেও স্বাগত জানান তিনি।

বৈঠকে ভারত কাশ্মির নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় হতাশা ব্যক্ত করা হয় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। এ সংকট সমাধানে এগিয়ে আসার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বৈঠক শেষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের স্থায়ী ৫ সদস্য রাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টির সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সংকট আরও গভীর হওয়ার আগেই দীর্ঘদিনের এ বিরোধ সমাধানে আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় সেনা ও পুলিশের বিশেষ বাহিনীর যৌথ অভিযানে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানিসহ তিন হিজবুল যোদ্ধা নিহত হন। বুরহান নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে কাশ্মির জুড়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বিক্ষুব্ধ কাশ্মিরিদের দাবি, বুরহানকে ‘ভুয়া এনকাউন্টারে’ হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে পুলওয়ামা ও শ্রীনগরের কিছু অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ আরও জোরালো হলে কাশ্মিরের দশটি জেলা,এমনকি দূরবর্তী গ্রামেও কারফিউ জারি করা হয়। সেই থেকে আজও পর্যন্ত কাশ্মিরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। প্রায় ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই কারফিউ।  

/এএ/