সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ভিন্ন চোখে দেখারও বিরোধিতা করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘এখানে ভালো সন্ত্রাসী কিংবা খারাপ সন্ত্রাসী বলার কোনও অবকাশ নেই। সব ধরনের সন্ত্রাসবাদই খারাপ।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্কের যুদ্ধ আইএস নির্মূলের পাশাপাশি পিকেকে, ওয়াইপিজি, পিওয়াইডির মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে।’
সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে তুরস্কের যুদ্ধ অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সীমান্তকে সন্ত্রাসীদের জন্য করিডোর হিসেবে ব্যবহার করতে দিতে পারি না। এই উদ্দেশ্যই তুরস্কের সামরিক বাহিনী মার্কিন নেত্বাধীন জোট বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে।’
সিরিয়ার কুর্দি সংগঠন পিকেকে’র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান এরদোয়ান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে ‘মডেল অংশীদারিত্ব’ বজায় রাখতে এই ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে।
১৫ জুলাই ২০১৬ তারিখে তুরস্কে সেনাবাহিনীর একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ওই অভ্যুত্থানচেষ্টার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বসবসরত একজন তুর্কি নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করে ইস্তানবুল। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। ওই ঘটনার পর এই প্রথম জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এরদোয়ানের।
আইএস এবং কুর্দি বিদ্রোহী নির্মূলে তুরস্কের ‘ইউফ্রেটিস শিল্ড’ নামক এ অভিযানের উদ্দেশ্য নিয়েও কথা বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এ অভিযানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীকে সহায়তার পাশাপাশি সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার এবং সিরিয়ার অখণ্ডতা বজায় রাখতে চায় আঙ্কারা।
রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, যে কোনও মূল্যে সিরিয়ায় তুরস্কের চলমান অভিযান নিয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। জারাবলুস অভিযান আমাদের সংকল্পে একটা বহিঃপ্রকাশ।
রবিবার ও সোমবার চীনে শিল্পোন্নত ২০ দেশের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এটা ছিল ১১তম জি-টোয়েন্টি সম্মেলন।
/এমপি/