ওই দাতব্য সংস্থার যথাযথ নিবন্ধন না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে তহবিল সংগ্রহ বন্ধের এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেলের পাঠানো নোটিসে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা বেশকিছু মামলার নিষ্পত্তি করতে দাতব্য তহবিলের অর্থ ব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দাতব্য সংস্থা পরিচালনা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন।
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, ব্যবসায়ে ৯১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার লোকসান দেখিয়ে ১৮ বছর ধরে কর ফাঁকি দিয়ে আসছেন এ মার্কিন ধনকুবের। ট্রাম্পের ১৯৯৫ সালের আয়কর বিবরণী (ট্যাক্স রিটার্ন) প্রকাশ করে এই দাবি করেছে মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ সালে ৯১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার লোকসান দেখিয়ে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারকে কোনও করই দেননি। এর মাধ্যমে প্রায় ১০০ কোটি ডলার কর ফাঁকি দেন ট্রাম্প।
১৯৯০ দশকের শুরুর দিকে ট্রাম্পের আটলান্টিক সিটির তিনটি ক্যাসিনো, এয়ারলাইনস এবং নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অসময়ে কেনা প্লাজা হোটেল ব্যবসায় ধসে নামে। অব্যবস্থাপনার ফলে ব্যবসায় লোকসান হলেও এতে ট্রাম্পই লাভবান হন। তিনি আয়কর বিবরণীতে ৯১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার লোকসান দেখান। যার কারণে প্রতি বছরই সরকারকে অন্তত পাঁচ কোটি ডলার কর দেওয়া থেকে রেয়াত পান তিনি।
নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির শ্যাক ইনস্টিটিউট অব রিয়াল এস্টেটের সহকারী অধ্যাপক জোয়েল রসেনফেল্ড বলেন, ব্যবসায়িক বিপর্যয় থেকে ট্রাম্প বিশাল লাভ করেছিলেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের দাবি সম্পর্কে ট্রাম্প কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও তাকে দক্ষ ব্যবসায়ী উল্লেখ করে বিষয়টি পাশ কাটানোর চেষ্টা করেছে তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইন টিম।
নির্বাচনী ক্যাম্পেইন টিমের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প একজন অত্যন্ত দক্ষ ব্যবসায়ী, আইনগতভাবে যেটা বাধ্যতামূলক, তার বাইরে তিনি কর দেন না। তবে তিনি সম্পত্তি কর, বিক্রয় কর, আবগারি শুল্ক, রিয়াল এস্টেট কর, কর্মচারীদের আয়কর এবং কেন্দ্রীয় কর হিসেবে শত শত কোটি ডলার পরিশোধ করেছেন।
/এমপি/