চায়না ডেইলি

বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণ সড়ক ও বিদ্যুৎ প্রকল্পে সহযোগিতা করবে

চায়না ডেইলিবাংলাদেশের সড়ক, সেতু, টানেল ও বিদ্যুৎ প্রকল্পে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে চীন। শুক্রবার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঐতিহাসিক ঢাকা সফরে এ ঋণ প্রদানে রাজি হয় চীন। শনিবার চীনের অন্যতম ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা চায়না ডেইলি খবরটি প্রধান শিরোনাম প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্টের শি জিনপিংয়ের উপস্থিতিতে ৫৬টি চুক্তি ও সমাঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে টেলিকমিউনিকেশন, অবকাঠামো এবং আর্থিক ও বাণিজ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।

দুই রাষ্ট্রনেতা ছয়টি সহযোগিতামূলক প্রকল্পও উদ্বোধন করেন।  এর মধ্যে রয়েছে একটি টানেল ও কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট।

দুই দিনের সফরে চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জিনপিং বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে চীন পূঁজি, কারিগরি ও মানবসম্পদ দিয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করেন শি জিনপিং জানান, দুই দেশ চীনের প্রস্তাবিত বেল্ট ও সড়ক উদ্যোগে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়।

শেখ হাসিনা জানান, জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বৈঠক অত্যন্ত সফল হয়েছে এবং এতে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবেন।

গত ৩০ বছরের মধ্যে শি জিনপিং চীনা প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবার বাংলাদেশ সফর করেন।

গত বছর উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১৪.৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার আর বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চীনের তৃতীয় বৃহৎ অংশীদার।

বাংলাদেশে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ব্যাংকটি বাংলাদেশকে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে।

পিকিং ইউনিভার্সিটির সেন্টার অব দক্ষিণ এশিয়া স্টাডিজ এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট রুয়ান ঝংঝি জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শহর ও রাজধানী ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি ভালো বন্দর রয়েছে। বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে চীন। পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলতে চীন প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমান অর্থনৈতিক করিডোরের কেন্দ্র বিন্দুতে বাংলাদেশ রয়েছে।

ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে কম্বোডিয়ার পর ঢাকায় দ্বিতীয় যাত্রা বিরতি করেন জিনপিং। এ সপ্তাহের শেষের দিকে ব্রিকস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

/এএ/