পেশাওয়ারে সেনা নিয়ন্ত্রিত একটি স্কুলে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সংবিধানের ২১ তম সংশোধনীর আওতায় এ আদালত গঠিত হয়। গত বছরের জানুয়ারিতে গঠিত সামরিক আদালতে সরকারিভাবে হওয়া ২৭৫টি সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার শুরুর কথা বলা হয়। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। ক্যামেরার সামনে চলে বিচার। দুই মাস পর প্রথম সাজা ঘোষণা করা হয়। প্রায় দুই বছরের বিচারকার্যকালীন এসব আদালতে ১৬১ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরও ১১৬ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদের বেশিরভাগেরই যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। আর এ পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকর হয়েছে মাত্র ১২ জনের। সাজাপ্রাপ্তরা আল কায়েদা, তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তান, জামাতুল আহরার, তৌহিদুল জিহাদ গ্রুপ, জয়েশ-ই-মোহাম্মদ, হরকাতুল জেহাদ ই ইসলামি, রস্কর-ই জাংভি, রস্কর-ই-জাংভি আল-আলামি, লস্কর-ই ইসলামি এবং সিপাহ-ই-সাহাবা।
যেসব মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-এপিএস হত্যাকাণ্ড, সাফুরা বাস হামলা, সাবিন মেহমুদকে হত্যা, সাংবাদিক রাজা রুমির ওপর হামলা, রাওয়ালপিন্ডি প্যারেড লেন মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা।
/এফইউ/