ডন

এনএসজি সদস্য পদের খসড়া আইন প্রত্যাখ্যান পাকিস্তানের

ডনপরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী, এনএসজি- এর সদস্য পদ দেওয়ার জন্য প্রস্তাবিত খসড়া আইন প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। এই আইন পাস হলে পাকিস্তানের এনএসজি সদস্যপদ লাভের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। শুক্রবার পাকিস্তানের অন্যতম ইংরেজি দৈনিক ডন খবরটি অন্যতম শিরোনাম প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাফিজ জাকারিয়া বলেন, স্পষ্টভাবেই এ খসড়া বাস্তবায়ন হলে বৈষম্য তৈরি হবে। এনএসজির উদ্দেশ্যের কিছুই বাস্তবায়িত হবে না নতুন আইনে।

পাকিস্তান এনপিটি স্বাক্ষর করেনি এবং আইএইএ-র সঙ্গেও তাদের কোনও চুক্তি নেই। তাই নতুন প্রস্তাবটি এনএসজি-তে পান হয়ে গেলে পাকিস্তানের এনএসজি প্রবেশের পথ খুলবে না। তবে প্রস্তাবটি পাস হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ চীন এই নতুন আইনের বিরোধিতা করতে পারে।

প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে, যে সব পরমাণু শক্তিধর দেশ এনপিটি সই না করেও এনএসজি-র সদস্য হতে চাইছে, সেই সব দেশের সঙ্গে আইএইএ  (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন)-র একটি চুক্তি থাকতে হবে। আইএইএ-র সঙ্গে চুক্তিতে সেই দেশকে জানাতে হবে, দেশের কোন পরমাণু প্রকল্পগুলি বেসামরিক। এই বেসামরিক প্রকল্পগুলি থেকে সামরিক পরমাণু প্রকল্পগুলিকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে হবে।

খসড়ায় আরও আছে, এনএসজি সদস্য হওয়ার সুবাদে সদস্য দেশগুলির কাছ থেকে যে সব পরমাণু সরঞ্জাম ওই দেশ কিনবে, সেই সব সরঞ্জাম শুধু বেসামরিক প্রকল্পগুলিতেই ব্যবহার করা যাবে। বেসামরিক প্রকল্প থেকে পরমাণু সরঞ্জাম সামরিক প্রকল্পে স্থানান্তরিত করা যাবে না।

শুধু তাই নয়, এনএসজি সদস্যপদ পেতে আগ্রহী রাষ্ট্রকে আইএইএ-র সঙ্গে এমনভাবেই চুক্তিবদ্ধ হতে হবে, যাতে আইএইএ ওই রাষ্ট্রের সব অসামরিক পরমাণু প্রকল্পে নজরদারি চালাতে পারে এবং তাদের চোখ এড়িয়ে কোনও পরমাণু সরঞ্জাম সামরিক প্রকল্পে স্থানান্তরিত করা সম্ভব না হয়।

অবশ্য প্রস্তাবিত খসড়ায় পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ ভারতের এনএসজির সদস্য হওয়ার পথ সুগম হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

/এএ/