দ্য গার্ডিয়ান

নতুন ইইউ দূতের নাম ঘোষণা করে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা

দ্য গার্ডিয়ানইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) নিয়োজিত যুক্তরাজ্যের দূত ইভান রজার্সের আচমকা পদত্যাগকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তার রেশ কমাতে দ্রুত তৎপরতা চালাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এরই অংশ হিসেবে টিম ব্যারোকে ইইউ’র নতুন দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। আর বৃহস্পতিবার এ খবরটিকেই প্রধান শিরোনাম করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রজার্সের জায়গায় দ্রুত ব্যারোকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত আলোচনার ইস্যু কাজ করছে। কেননা, ব্রেক্সিটের আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুতি নিতে হবে। তাছাড়া রজার্সের পদত্যাগকে কেন্দ্র করে কিছু মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা এ নিয়োগের মধ্য দিয়ে কিছুটা কমে আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জ্যেষ্ঠ ব্রিটিশ কর্মকর্তা ইভান রজার্সকে ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ইইউ-তে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত মাসে তার এক ব্যক্তিগত বার্তা ফাঁস হয়, যেখানে তিনি বলছেন, ‘ইউকে-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হতে ১০ বছর লেগে যেতে পারে।’ ওই বার্তা ফাঁসের পর থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন রজার্স। তার সঙ্গে ডাউনিং স্ট্রিটের সম্পর্কেও ফাটল ধরে। মঙ্গলবার হতাশা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া ব্রিটিশ দূত রজার্স নিরপেক্ষ পরামর্শ দেওয়ার জন্য এবং ‘অমূলক যুক্তি ও তালগোল পাকানো চিন্তা-ভাবনা থেকে সরে আসার জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান। স্পষ্ট করে আরও জানিয়ে দেন ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে নিজের ধারণার কথা। বলেন, ইইউ থেকে বের হওয়ার কৌশল নিয়েই যে কেবল যুক্তরাজ্য সরকারের কমতি রয়েছে তা নয়, এক্ষেত্রে সুসঙ্গত আলোচক দলেরও ঘাটতি রয়েছে।  রজার্সের এমন নিরপেক্ষ বক্তব্যকে আক্রমণ করে যে কয়েকজন সাবেক রক্ষণশীল মন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আবার কয়েকজন সিনিয়র সরকারি কর্মচারী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ গোপনে জানিয়েছেন তারা পদত্যাগের কথা ভাবছেন।  

রজার্সের স্থলাভিষিক্ত হওয়া ব্যারো ২০১৫ সাল পর্যন্ত মস্কোতে যুক্তরাজ্যের দূত হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৬ সালের মার্চে পররাষ্ট্র কার্যালয়ের রাজনৈতিক পরিচালকের দায়িত্ব নেন তিনি।     

ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের ব্যাপারে ভোটাভুটি হয় ২০১৬ সালের ২৩ জুন। ওই ভোটে ইইউ ত্যাগের পক্ষে রায় দেন ব্রিটিশ ভোটাররা। ২০১৭ সালেই ব্রেক্সিট ত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় যুক্তরাজ্য। আর ২০১৯ সালের মধ্যে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চায় দেশটি।

/এফইউ/