আলোচনায় অংশ নিয়েছেন নবনিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই তার প্রথম সফর ও কূটনৈতিক উদ্যোগ।
বিভক্ত তুর্কি সাইপ্রাস এবং গ্রিক সাইপ্রাসের মধ্যে বিভাজন দূরীকরণ এবং একক ফেডারেশন গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এ আলোচনা চলছে। আলোচনা হবে অর্থনীতি ও ভূখণ্ড নিয়েও। আলোচনায় উভয় পক্ষের নেতারা সম্ভাব্য সীমানা চিহ্নিত একটি মানচিত্র হস্তান্তর করেছেন। দুই পক্ষের মধ্যে সঙ্কট সমাধানে এটাই প্রথম কোনও আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ।
জাতিসংঘের নবনিযুক্ত মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সভাপতিত্বে এ আলোচনায় অর্থনৈতিক ও ভূখণ্ডগত মতপার্থক্য কমিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান দু'পক্ষের প্রতিনিধিরা।
বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে জাতিগত দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জর্জরিত, সেখানে সাইপ্রাসে ঐক্য গঠনের উদ্যোগকে অন্যতম দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তির জন্য সব পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তুরস্ক, গ্রিস এবং ব্রিটেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ১৯৬০ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে সাইপ্রাস। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশটির তুর্কি ও গ্রিক জনগোষ্ঠীর মাঝে চলা দ্বন্দ্ব-সংঘাতের জেরে ১৯৭৪ সালে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এরপর থেকে সাইপ্রাসের উত্তরাংশে তুর্কি সাইপ্রিয়ট এবং দক্ষিণাংশে গ্রিক সাইপ্রিয়টরা বসবাস করে আসছে।
২০০৪ সালে ঐক্যবদ্ধ সাইপ্রাস গঠনে জাতিসংঘের একটি খসড়ার ওপর নেওয়া গণভোটে তুর্কি সাইপ্রিয়টরা সমর্থন জানালেও প্রত্যাখ্যান করে সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রিক সাইপ্রিয়টরা।
/এমপি/