নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতি নিজের সমর্থন প্রদর্শন করতে গিয়ে তার আগের মন্তব্যগুলোকে অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। আগে ট্রাম্পকে বেশ কয়েকবার জনসমক্ষে গোয়েন্দাবিরোধী কথা বলতে দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগে মার্কিন গোয়েন্দা সম্প্রদায়কে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি। অথচ, শনিবার সিআইএ’র সদর দফতরে সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই দেখা গেছে অন্য ভূমিকায়। তার অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমগুলোই গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করছে। সাংবাদিকদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে অসৎ মানুষদের কাতারের বলে উল্লেখ করেছেন।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে লোকসমাগম নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো অসত্য প্রচারণা চালিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার ১৫ লাখের মতো মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিল।’ এ সংখ্যাকে মিডিয়াগুলো আড়াই লাখ হিসেবে উল্লেখ করেছে বলে ক্ষোভ জানান ট্রাম্প।
তার দাবি, ওইদিন উপস্থিত লোকজনের সারি ওয়াশিংটন মনুমেন্ট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। অবশ্য, সেদিন মিডিয়াগুলোর এরিয়াল শটে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছিল তা ট্রাম্পের দাবির বিপরীত।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসারও এক সংবাদ সম্মেলনে ভুয়া সংবাদ প্রচারের অভিযোগ এনে সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন। তার অভিযোগ, ওইদিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিশাল ও ফাঁকা জায়গা দেখিয়ে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের এরিয়াল শটে ট্রাম্পের শপথ আর ওবামার প্রথম মেয়াদের শপথে লোকসমাগমের তুলনা করা হচ্ছিল।
শন স্পাইসার দাবি করেন ‘এবারের অভিষেক অনুষ্ঠানে মানুষের জমায়েত সবচেয়ে বেশি হয়েছে।’
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ও তার মুখপাত্র এমন সময়ে বক্তব্যগুলো দিলেন যখন লাখো মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে।
/এফইউ/বিএ/