ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউস থেকে দুই নেতার সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এ সফর।
থেরেসা মে’র ট্রাম্পের বৈঠককে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি ছাড়াও ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, প্রতিরক্ষা এবং রাশিয়া ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ নিক টিমোথি ও ফিওনা হিল গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন। ওই সময় তারা ট্রাম্পের অন্তবর্তী দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখন ট্রাম্পের অন্তবর্তী দলের পক্ষ থেকে থেরেসা মে-কে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সে অনুযায়ী এ সফরে যাচ্ছেন থেরেসা মে।
ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন উভয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের বৈঠক করা একটি ভালো উদ্যোগ হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও একমত যে; এটা খুব কাজের হবে।
উল্লেখ্য, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মতোই থেরেসা মে-ও ট্রাম্পের অভিবাসন-বিষয়ক অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে থেরেসা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত হবে ‘বিভেদজনক, অসহযোগিতামূলক এবং ভুল’। তবে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর থেরেসা মে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
থেরেসা-র মতো তার টিমের কর্মকর্তারাও ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। গতবছর মে মাসে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিফ অব স্টাফ নিয়োগ পাওয়ার আগে টিমোথি টুইটারে বলেছিলেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক চান না। ট্রাম্পকে মাথামোটা বলেও আরেকটি টুইট করেছিলেন টিমোথি।
নভেম্বরে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই থেরেসা মে-কে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তখনই জানা গিয়েছিল, ২০১৭ সালের শুরুর দিকে তিনি (থেরেসা মে) ওয়াশিংটন সফর করতে পারেন।
/এমপি/