সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৫ সালে ইসিও প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইরান। ১৯৯২ সালে আরও সাতটি দেশকে ইসিও-ভুক্ত করা হয়। দেশগুলো হচ্ছে আফগানিস্তান, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এবারের সম্মেলনে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর নেতারা অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে অংশ নিচ্ছে চীন।
এবারের সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ, বাণিজ্য, পরিবহন ও জ্বালানি খাতের মতো সেক্টরে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেন দেশগুলোর নেতারা। বিশেষ করে জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। এছাড়া সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসছে।
ইসিও-ভুক্ত দেশগুলোতে বিশ্বের ১৬ শতাংশ মানুষের বসবাস। ফলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এটাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোকে নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতর সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে।
এদিকে ইসিও সম্মেলনকে ঘিরে ইসলামাবাদকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান সম্মেলনের নিরাপত্তার নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়া সম্মেলন চলাকালে ইসলামাবাদের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস দুপুর ১টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
/এমপি/