আনাদোলু পোস্ট

আল আকসা মসজিদের সাত নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করলো ইসরায়েল

Anadolu Postজেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদের সাত নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলের পুলিশ। ইসলামের প্রথম কেবলা হিসেবে পরিচিত এই মসজিদটি থেকে সোমবার ইসরায়েলি এক প্রত্নতত্ত্ববিদ একটি পাথর সরানোর চেষ্টা করলে তাতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপরই তাদের গ্রেফতার করে ইসরায়েলি পুলিশ। মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার শিরোনাম করেছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু পোস্ট।

এদিকে আল-আকসা মসজিদের নিরাপত্তাদানের কাজে নিয়োজিত সাতজনের গ্রেফতারকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন জেরুজালেমের গ্র্যান্ড মুফতি মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি বলেন, দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ এই পবিত্র স্থানের বিদ্যমান চিত্র বদলে দিতে চাইছে। তারা আল আকসা মসজিদের নিরাপত্তারক্ষীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তাদের দায়িত্ব পালন থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের একজন নিরাপত্তারক্ষী জানান, ইসরায়েলি প্রত্নতত্ত্ববিদ ইউভাল বারুচ আল-আকসায় ঢুকে মসজিদের পিলার থেকে একটি পাথর সরিয়ে নিয়ে নিজের পকেটে ঢুকানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তাকে বাধা দেন মসজিদে কর্মরত ফিলিস্তিনি নিরাপত্তারক্ষীরা। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই ইসরায়েলি পুলিশ সেখান থেকে তিন ফিলিস্তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করে। এরপর মঙ্গলবার আরও চার নিরাপত্তারক্ষীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেফতার করা হয়।

noname

২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর ইউনেস্কো’র এক প্রস্তাবনায় বলা হয়, জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের ওপর ইসরায়েলের কোনও অধিকার নেই। এটি মুসলিমদের পবিত্র স্থান।

আল আকসা বা বায়তুল মোকাদ্দাস হচ্ছে- ইসলামের প্রথম কেবলা। মক্কা ও মদিনার পর এটি মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থান। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদুন্নবী এবং জেরুজালেমের বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদের উদ্দেশে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্য কোনও মসজিদ সম্পর্কে তিনি এ ধরনের মন্তব্য করেননি।

আল আকসা মসজিদের গুরুত্বের একটি বড় হচ্ছে প্রথম থেকে হিজরত পরবর্তী ১৭ মাস পর্যন্ত মুসলিমরা আল আকসা মসজিদের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। পরে আল্লাহ তাআলার নির্দেশে মক্কার কাবা শরিফ-এর দিকে কেবলা নির্ধারিত হয়।

/এমপি/