দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

সিরিয়ায় ভয়াবহ ‘রাসায়নিক হামলা’

Washington Post - 050417সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবে বিমান থেকে চালানো সম্ভাব্য রাসায়নিক গ্যাস হামলায় নারী ও শিশুসহ বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। মঙ্গলবারের ওই হামলাকে উদ্ধারকারী ও ডাক্তাররা ‘রাসায়নিক হামলা’ বলে শনাক্ত করেছে। এই খবরটিকেই বুধবার শিরোনাম করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।  

ইদলিবে ওই সম্ভাব্য রাসায়নিক গ্যাস হামলায় নিহতের হয়েছেন ৫৮ জন। এদের মধ্যে ১১ জন শিশুও রয়েছে যাদের বয়স আট বছরের কম। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এবং ডাক্তারদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, হামলার কারণে অনেকের শ্বাসরুদ্ধ হয়, কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, কারও কারও আবার মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে আসে। ওই মেডিক্যাল সূত্র জানিয়েছে, এটি রাসায়নিক গ্যাস হামলা ছিল বলে আলামত মিলেছে।

ইদলিবের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান মোনজের খলিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খান শেইখুন এলাকায় যুদ্ধবিমান থেকে গ্যাস হামলা চালানো হয়। এগুলো সারিন ও ক্লোরিন গ্যাস ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।’ এ হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৩০০ মানুষ আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা বলছেন, আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এমন একটি মেডিক্যাল পয়েন্টের কাছে পরে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে। আর উদ্ধারকারী সংগঠন হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, তাদের কেন্দ্রগুলোর একটি এবং একটি মেডিক্যাল পয়েন্টও হামলার শিকার হয়েছে।

এ হামলাকে ২০১৩ সালের আগস্টে চালানো সারিন গ্যাস হামলা পরবর্তী সবচেয়ে ভয়াবহ রাসায়নিক হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। ওই হামলায় এক হাজার ৩০০ মানুষ নিহত হয়। হামলার জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছিল সরকার ও বিদ্রোহীরা।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইদলিব। বিদ্রোহীরা এই হামলায় সরকারী বাহিনী ও রাশিয়াকে দুষছে। তবে প্রথম থেকেই তা অস্বীকার করে আসছে সরকারি ও রুশ বাহিনী।

/এসএ/