দ্য গার্ডিয়ান

যুক্তরাষ্ট্র ও উ. কোরিয়াকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে সরে আসতে বললো চীন

গার্ডিয়ানের প্রথম পাতামার্কিন বিমানবাহী রণতরী কোরিয়া উপদ্বীপে মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে যে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে,সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়াকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে চীন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আশঙ্কা জানিয়েছেন, এ যুদ্ধের ফলে আঞ্চলিক পরিস্থিতি ‘অনিশ্চিত’ হয়ে পড়তে পারে। রবিবার (১৬ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে।
উল্লেখ্য,কোরিয়া উপদ্বীপ অভিমুখে রয়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপ। আর শনিবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং-এর ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সময়ে ৬ষ্ঠ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালানোর হুঁশিয়ারি দেয় উত্তর কোরিয়া। এ নিয়ে উত্তর কোরিয়া-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ তৈরি হয়। উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে ‘ধৈর্যচ্যুতি’ ঘটেছে বলে সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্র।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং ই বলেন,‘আমরা সব পক্ষকেই মৌখিক-প্রায়োগিক সব ধরনের উস্কানি দেওয়া কিংবা হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়।’
যুদ্ধাবস্থা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে ওয়াং বলেছেন,‘যুদ্ধ শুরু হলে সব পক্ষই তাতে হারবে,কোনও পক্ষই জয়ী হবে না। যে কোনও মুহূর্তে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কায় আছে আরেক পক্ষ। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত।’  
সিরিয়ায় বিষাক্ত সারিন গ্যাস হামলার পর পরই উত্তর কোরিয়ার একটি উপদ্বীপের দিকে নৌবহর পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকেও পাল্টা হুমকি দিতে ছাড়েননি উ. কোরীয় প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। পিয়ংইয়ং অভিযোগ করে বলেছে,এ পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়া উপদ্বীপকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার এক টুইটে একাই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলে চীনের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘চীন সাহায্য করুক আর না করুক যুক্তরাষ্ট্র একাই উত্তর কোরিয়া সমস্যার সমাধান করতে পারে।’

/এফইউ/