দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

কোমিকে ফ্লিনের তদন্ত বন্ধ করতে বলিনি: ট্রাম্প

TWPসাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কোমি’কে নিজের সহযোগী মাইকেল ফ্লিন-এর রুশ সংযোগের তদন্ত বন্ধের আহ্বান জানানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি কখনোই কোমি বা অন্য কাউকে জেনারেল ফ্লিন বা অন্য কারও কোনও তদন্ত বন্ধ করতে বলেননি।’ এ বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার শিরোনাম করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের রুশ সংযোগ তদন্ত বন্ধ করতে এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে পদত্যাগ করেছিলেন জেনারেল ফ্লিন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে ফ্লিন পদত্যাগের একদিন পরই হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে জেমস কোমিকে এ বিষয়ে তদন্ত না করতে বলেছিলেন ট্রাম্প।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, ট্রাম্পের সঙ্গে ওই বৈঠকের পরপরই একটি মেমো লেখেন কোমি। ওই মেমো অনুসারে, ট্রাম্প কোমিকে বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি আপনি এ নিয়ে (ফ্লিনের তদন্ত) আর এগোবেন না। তিনি (ফ্লিন) একজন ভালো মানুষ।’

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাম্প বলেন, জেনারেল ফ্লিন একজন ভালো মানুষ। তিনি দেশকে রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। তবে কখনোই কোমি বা অন্য কাউকে তার ব্যাপারে তদন্ত বন্ধ করতে বলা হয়নি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথোপকথনের জের ধরে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব অবহেলার অজুহাত দেখিয়ে ফ্লিনকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এরপর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্তে নামে এফবিআই ও সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটি।

ফ্লিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওবামা আমলে রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা সরানোর বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তিনি ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণের আগেই আলোচনা করেছিলেন। ফ্লিন তা করে থাকলে তবে তা হবে আইনের লঙ্ঘন। কেননা মার্কিন আইন অনুযায়ী, বেসরকারি নাগরিকদের পররাষ্ট্র নীতিমালাসংক্রান্ত কাজে জড়িত হওয়া নিষিদ্ধ।

এদিকে, ৯ মে (মঙ্গলবার) হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল ফাঁসের তদন্ত সঠিকভাবে না তত্ত্বাবধান না করার অভিযোগ তুলে এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যা নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেয়।

ডেমোক্র্যাটদের দাবি, ট্রাম্পের রুশ সংযোগ নিয়ে তদন্তের কারণেই কোমিকে বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। তখন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স জানিয়েছিলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্তের কথা বিবেচনা করছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বছর বেশ কয়েকটি ভুল পদক্ষেপ নেওয়ায় কোমির ওপর আস্থা হারান ট্রাম্প।

কোমিকে বরখাস্তের কারণ হিসেবে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (কোমি) একজন অসাধারণ অভিনেতা। তার অধীনে এফবিআই সংশয়ের মধ্যে চলছিল। কারও অনুরোধে নয়, আমি নিজ সিদ্ধান্তেই কোমিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

/এমপি/