কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত হওয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে সমালোচনা করছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, সরকার মামলাটি ঠিকমতো সামলাতে পারেনি। তবে আন্তর্জাতিক আদালতের ওই রুলকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের ভেতরে যে সমালোচনা চলছে তাকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন সরতাজ। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালত অভ্যন্তরীণ আইনকে বাতিল করতে পারবে না। যদি কাউকে আমাদের আইনের আওতায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তবে তারা তা অবৈধ ঘোষণা করতে পারবে না।’
২০১৬ সালের ৩ মার্চ কূলভূষণকে বেলুচিস্তানের মাসকেল এলাকা গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানে নাশকতা ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের সেনা প্রধান জাভেদ বাওজা সামরিক আদালতে কূলভূষণের ফাঁসির রায় চূড়ান্ত করেন। কুলভূষণ ইস্যুতে ৮ মে আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হয় ভারত। ১৮ মে আন্তর্জাতিক আদালতে এগারো জন বিচারপতি বিশিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চ পাকিস্তানের সেনা আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। পরবর্তী নোটিস না আসা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে বলে জানায় আদালত।
/এফইউ/