হামলার পর মঙ্গলবার (২৩ মে) ম্যানচেস্টার পুলিশ একে ‘লোন উলফ’ হামলা হিসেবে উল্লেখ করলেও বুধবার ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রুড জানিয়েছেন ভিন্ন ধারণার কথা। তিনি জানান, সন্দেহভাজন সালমান আবেদি ম্যানচেস্টারের হামলাটি একা একা চালায়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে; তার সহযোগী থাকতে পারে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সালমান আবেদীকে আগে থেকে চিনতেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি পরবর্তী কয়েক দিন কিংবা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমরা সালমানের ব্যাপারে আরও তথ্য জানব।’
এর আগে মঙ্গলবার ম্যানচেস্টার পুলিশ দাবি করেছিল, আত্মঘাতী ওই হামলাকারী ছিলেন লোন উলফ। ‘এই পর্যায়ে আমরা ধারণা করছি, একজন হামলাকারীই এই হামলা চালিয়েছে। হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।’
উল্লেখ্য, লোন উলফ অর্থ হলো একা একজন ব্যক্তির ‘টার্গেটেড’ কোনও স্থানে গিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালানো। এ ধরনের হামলার কারণে হামলাকারী জীবিত না থাকায় তার কাছ থেকে কোনও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ম্যানচেস্টারের সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী সালমান আবেদির বাবা-মা ছিলেন লিবীয় শরণার্থী। সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির রোষানল থেকে বাঁচতে লিবিয়া ছেড়ে পরিবারকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে আসেন সালমানের বাবা রামাদান। ডেইলি মেইলের অপর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব দাবি করা হয়। সংবাদমাধ্যম মিরর সালমানের বন্ধু-প্রতিবেশিদের সূত্রে জানাচ্ছে, ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া সালমান কৈশোরে ছিলেন এক ফুটবল-উন্মাদ তরুণ। ভিডিও গেমেও আসক্তি ছিল তার।
/এমপি/