দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্প দাবি করে আসছেন ন্যাটোর সদস্যরা জোটটি প্রতিরক্ষা বাজেটে সমান হারে অংশগ্রহণ করছে না। ফলে জোটের দেশগুলোর কাছে যুক্তরাষ্ট্র বিরাট অংকের অর্থ পাওনা আছে।
২০১৬ সালের ন্যাটোর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র ৫টি দেশ তাদের জিডিপির ২ শতাংশ সামরিক জোটে ব্যয় করেছে। এই দেশগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, গ্রিস, পোল্যান্ড ও এস্তোনিয়া। জার্মানি প্রতিরক্ষায় ব্যয় করেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। তবে দেশটির দাবি, উন্নয়ন সহযোগিতায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে।
সোমবার যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘এ ধরনের হামলা বন্ধে অবশ্যই সন্ত্রাসবাদকে ঠেকাতে হবে।’ হামলায় নিহত ২২ জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ট্রাম্প নীরবতা পালনের আহ্বান জানান।
ভাষণে ট্রাম্প রাশিয়া কর্তৃক অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের কারণে সৃষ্ট হুমকির বিষয়েও সতর্ক করেন।
ন্যাটো সদর দফতরে যাওয়ার আগে ট্রাম্প প্রথমবারের মতো বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রান্সের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।
ইসলামি জঙ্গিবাদের মোকাবিলায় বিশেষ করে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে রাজি হয়েছে ন্যাটো। তবে এই পদক্ষেপ মূলত প্রতীকী। কারণ আইএসের বিরুদ্ধে রণাঙ্গনের লড়াইয়ে নামতে আগ্রহী নয় ন্যাটো।
/এমপি/