আইএসের মুখপাত্র আমাক এজেন্সি দাবি করেছে, তাদের যোদ্ধারা ইরানে খোমেনির দরগা ও পার্লামেন্টে হামলা চালিয়েছে।
ইরানের সেনাবাহিনীর দাবি, হামলার নেপথ্যে রয়েছে সৌদি আরব। এক বিবৃতিতে আইআরজিসি বলেছে, এ অঞ্চলের প্রতিক্রিয়াশীল সরকার (সৌদি আরব)-এর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠকের এক সপ্তাহ পর এই সন্ত্রাসী হামলাটি হয়েছে। এটা প্রমাণ করে এই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে তারা (সৌদি আরব) জড়িত।
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই অবশ্য এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
হামলায় নিহতদের শহীদ আখ্যায়িত করে আইআরজিসি'র উপ-প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেন সালামি বলেছেন, তেহরানে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদদের রক্তের বদলা নেওয়া হবে। সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি তাদের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।
তেহরানে হামলাকারীরা ইরানি নাগরিক; যারা ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সদস্য বলে জানিয়েছে ইরান। ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপ-প্রধন রেজা সেইফুল্লাহ দেশটির সরকারি টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।
বুধবার ইরানের পার্লামেন্ট ও দেশটির ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারে ওই আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে ১২ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ইরান। সব হামলাকারী নিহত ও তৃতীয় হামলার পরিকল্পনাকারী সন্দেহে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
/এমপি/