এদিকে কাতারবিরোধী সৌদি অবরোধকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। তেল আবিবে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সৌদি নেতৃত্বে কাতারকে বয়কটের ফলে এখন বোঝা যাচ্ছে, আরব দেশগুলো ইসরায়েলকে শত্রু হিসেবে নয়, বরং মিত্র হিসেবে বিবেচনা করছে।
এর আগে সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের সঙ্গে ছয় আরব দেশের সম্পর্ক ছিন্নের ঘটনায় নিজের ‘কৃতিত্ব’ দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬ জুন ২০১৭ তারিখে টুইটারে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, আমার সাম্প্রতিক সৌদি সফরের ফল আসতে শুরু করেছে। সম্ভবত, এটা হবে সন্ত্রাসের বিদায়ের সূচনালগ্ন।
টুইটারে এমন পোস্ট দেওয়ার পর কাতারের আমিরকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের মতপার্থক্য নিরসনে সহায়তার প্রস্তাব দেন। ট্রাম্প বলেন, প্রয়োজনে হোয়াইট হাউসে এ বিষয়ে বৈঠকের আয়োজন করা যেতে পারে। তবে সংকটের শুরু থেকেই তুরস্ক অবস্থান নিয়েছে কাতারের পক্ষে। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির আহ্বান জানালেও দোহা’র পক্ষে অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া। চলমান অস্থিরতায় জার্মানি ও ভারতকেও দেখা গেছে কাতারের পাশে।
কাতারের রাজধানী দোহা-য় এক অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বলেন, কাতারকে একঘরে করা হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে আমরা সফল এবং প্রগতিশীল। আমরা শান্তির পক্ষে একটি প্লাটফর্ম, সন্ত্রাসের পক্ষে নয়। চলমান এই সংকট পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমরা বশ্যতা স্বীকার করতে প্রস্তুত নই। আমরা কখনোই আমাদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি ধুলায় মিশিয়ে দিতে প্রস্তুত নই।
/এমপি/