রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক যেমন দায়েশ (আইএস)-এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে; এক্ষেত্রে কাতারের ভূমিকাও একই রকম। যেভাবে দেশটির ওপর অবরোধ আরোপ করা হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কাতারকে শাস্তি দিতে উপসাগরীয় দেশগুলো যে পন্থা বেছে নিয়েছে তা মৃত্যুদণ্ডের শামিল। এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে সৌদি রাজাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি। চলমান সংকট উত্তরণে তিনি নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় থাকতে পারেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের কাতারি ভাইদের এভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা ‘অমানবিক এবং ইসলামী মূল্যবোধবিরোধী’।
এদিকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ছয় আরব দেশ কর্তৃক কাতারকে একঘরে করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভাষণে এ পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। নেতানিয়াহু বলেন, এ বয়কটের ফলে এখন বোঝা যাচ্ছে, আরব দেশগুলো ইসরায়েলকে শত্রু হিসেবে নয়, বরং মিত্র হিসেবে বিবেচনা করছে।
কাতারকে নিয়ে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় মিত্রদের অবস্থানে সরাসরি নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংকট সমাধানে আলোচনার আহ্বান জানালেও দোহার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া। সংকটে জার্মানির ঝোঁকও তুরস্কের পক্ষে। এ সংকট যুদ্ধে গড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা। দোহার পাশে রয়েছে ভারতও। চলমান সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
/এমপি/