জরিমানা ছাড়াও এ ধরনের চর্চা থেকে সরে আসতে গুগলকে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছ থেকে এক ডজনেরও বেশি অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি আমলে নেয় ইইউ। অভিযোগকারীরা বলছেন, সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে বাজারে একচেটিয়া অবৈধ সুবিধা নিচ্ছে গুগলের পণ্যসামগ্রী। পরে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এর আগে ২০১৫ সালেও গুগল সার্চের ফলাফলে কারসাজির অভিযোগ উঠেছিল। তখন এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে গুগলকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যান্টি ট্রাস্ট বিষয়ক একজন কর্মকর্তা মারগ্রেথ ভেসটেগার। তিনি বলেন, গুগল যেটা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যান্টি ট্রাস্ট আইনে সেটা অবৈধ। নিজেদের সার্চ রেজাল্টে তারা অন্য প্রতষ্ঠানগুলোকে উপেক্ষা করেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভোক্তাদের প্রকৃত তথ্য থেকে বঞ্চিত করেছে।
গুগলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ জরিমানার বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, “আজকের ঘোষিত উপসংহারের প্রতি সম্মান রেখেই আমরা এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করছি। বিশদ পর্যালোচনার পর আমরা বিষয়টি নিয়ে আপিলের কথা বিবেচনা করছি।"
/এমপি/