দোহায় কাতার পেট্রোলিয়ামের প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কাতার পেট্রোলিয়াম সূত্র জানিয়েছে, উত্তোলিত বাড়তি গ্যাস বিভিন্ন দেশে রফতানিতে নজর দেবে দোহা। ইউরোপের বৃহৎ তেল-গ্যাস কোম্পানি টোটাল ছাড়াও চীন ও ইরানসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে গ্যাস বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী কাতার।
বিশ্বে তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশ কাতার। একইসঙ্গে তেল রপ্তানিতেও অন্যতম বৃহৎ দেশ। দেশটির গ্যাসের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল সৌদি জোটের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। কারণ আমিরাতের বিদ্যুতের অর্ধেকই আসে কাতারের গ্যাস পাইপলাইন থেকে। কাতার যদি দেশটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে অন্ধকারে ছেয়ে যাবে দুবাই শহর। কারণ এ শহরের বিদ্যুতের উৎস হচ্ছে কাতারি গ্যাস। প্রতিদিন কাতার থেকে ২ বিলিয়ন কিউবিক গ্যাস যায় আমিরাতে। অন্য কোনও দেশ থেকে গ্যাস আমদানি করা আমিরাতের জন্য অনেক বেশি ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। তবে মঙ্গলবার কাতার পেট্রোলিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাদ শারিদা আল কাবি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন, কোনও দেশের গ্যাস সরবরাহ বাতিল করে দেওয়ার ইচ্ছে কাতারের নেই।
সাদ শারিদা আল কাবি বলেন, এই অবরোধ দীর্ঘ সময় ধরে চললেও তা কাতারকে কাবু করতে পারবে না।
/এমপি/