দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

সংবাদমাধ্যমে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তদন্তের ঘোষণা

Ny Timesট্রাম্প-এর প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনা নাটকীয় মাত্রায় উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন আ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস। অনুমোদনহীন ওইসব তথ্য ফাঁসের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। রাষ্ট্রের প্রধান ওই অ্যাটর্নি জানিয়েছেন, এরইমধ্যে তথ্য ফাঁসে ৪ জনকে অভিযুক্ত করেছে বিচার বিভাগ। তবে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি ওই শীর্ষ মার্কিন প্রসিকিউটর। এ বিষয়টি নিয়ে শনিবার শিরোনাম করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
অনুমোদনহীন বিভিন্ন গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁসের প্রবণতায় ‘নাটকীয় মাত্রা’র কথা বলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রসিকিউটর সেশনস পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বৈঠক ফাঁস হওয়ার কথাও জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাকে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এরই মধ্যে অননুমোদিত তথ্য ফাঁসের রহস্য উদঘাটনে বিচার বিভাগ তদন্তের হার তিন গুণ বাড়িয়েছে।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সেশনস ৪ জন অভিযুক্ত হওয়ার খবর দিয়ে বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিরাই অভিযুক্ত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের শ্রেণিবদ্ধ তথ্য ফাঁস ও বিদেশি গোয়েন্দাদের সঙ্গে গোপনে যোগযোগ রাখার অভিযোগ রয়েছে।’

গত সপ্তাহে অ্যাটর্নি জেনারেলের অবস্থানকে খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েকদিনর মাথায় সেশনস তথ্য ফাঁসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন। সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘কোনও দেশের নেতা বিদেশি নেতাদের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে স্বাধীনভাবে কথা বলতে না পারলে কোনও সরকারই কার্যকর হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত এবং তীব্র নিন্দা জানাই। তথ্য ফাঁসের এই সংস্কৃতি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। এটা রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’

বরখাস্ত হওয়ার পর মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্তে গঠিত সিনেটের সিলেক্ট কমিটি অন ইনটেলিজেন্স প্যানেলে সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রুশ সংযোগের তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে বরখাস্ত করেছেন। নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত সেই তদন্ত থেকে মার্চে নিজেকে সরিয়ে নেন জেফ সেশনস। সিনেট প্যানেলে কোমির শুনানিতে সঙ্গে রুশ কর্মকর্তাদের সম্পর্কের বিষয়ও উঠে আসে। নির্বাচনি প্রচারণার সময় কিংবা ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার পর রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াক ও অন্য রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেশনস গোপন বৈঠক করেছিলেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

জেফ সেশনস-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওয়াশিংটনের এক হোটেলে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। নির্বাচন নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্বীকার করে চলতি বছরের জুনে তিনি সিনেট তদন্ত কমিটিকে বলেন, গত বছর ওই বিষয়টি প্রকাশ না করে তিনি ভুল কিছু করেননি। তবে তিনি গোপন বৈঠকের অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি। কোনও রুশ কর্মকর্তার সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি বলে দাবি করেছিলেন সেশনস। বলেছিলেন, ‘আমি আত্মসম্মানের জন্য এসব কুৎসিত ও ভুয়া অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো।’

/এমপি/