দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার

প্রতিকৃতি এঁকে মায়ের শান্তি প্রক্রিয়ার প্রশংসা

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চি’র শান্তি প্রক্রিয়ার প্রশংসা করে  দেশটির শিল্পীরা তার প্রতিকৃতি আঁকছেন। এর মধ্য দিয়ে ইয়াঙ্গুনের শিল্পীরা সু চি’র শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি সংহতি জানাচ্ছেন। সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের শিরোনাম প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার

মিয়ানমারের শিল্পীদের কাছে সু চি মা হিসেবে পরিচিত। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে  সু চি’র প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলার কারণে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে শিল্পীরা এই ছবি আঁকা শুরু করেছেন।

মিয়ানমারের ট্র্যাডিশনাল আর্টিস্টস অ্যান্ড আর্টিজানস অ্যাসোসিয়েশন (কেন্দ্রীয়)-এর কোষাধ্যক্ষ ইউ নায় অং শু বলেন, প্রথমত সু চি, যাকে  মা হিসেবে সম্বোধন করি তার শান্তির পথকে আমরা সমর্থন করি। এছাড়া অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তার (সু চি) প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলায় আমরা উদ্বিগ্ন। মায়ের প্রতি আমাদের আন্তরিক বিশ্বাস অটল। দেশের অনেক জায়গার মানুষ আমাদের মায়ের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ও সংহতি জানাচ্ছেন। এই প্রতিকৃতি আঁকার কর্মসূচি আমরা মায়ের প্রতি সংহতি জানাতে করছি।

সু চির প্রতিকৃতি আঁকার কর্মসূচি রবিবার শুরু হয়। এতে শতাধিক শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। সকাল সকাল দশটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত প্রতিকৃতি আঁকা চলে।

অক্সফোর্ড থেকে নামিয়ে ফেলা সু চি’র প্রতিকৃতির অবিকল সংস্করণও এঁকেছেন শিল্পীরা।

উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনী অভিযান জোরদার করে। অভিযানের মুখে রাখাইন থেকে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সহিংসতা শুরু হওয়ার পর মিয়ানমারের নেত্রী ও শান্তিতে নোবেল জয়ী সু চি অনেক দিন নীরব থেকেছিলেন। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর রাখাইন নিয়ে বক্তব্য দিলেও তাতে সহিংসতার জন্য মুসলিমদের দায়ী করেন। পুরো সংকটে সু চির ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। বেশ কিছু পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান সু চিকে দেওয়া সম্মানজনক খেতাব প্রত্যাহার করে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি নামিয়ে ফেলে সু চির প্রতিকৃতি।