ডন

কোটা ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদের

Dawnসরকারি চাকরিতে সব প্রদেশের নাগরিকদের সমান অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করতে ৪০ বছরেরও বেশি সময় আগে পাকিস্তানে কোটা ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়। ২০১৩ সালে এর মেয়াদ শেষ হয়। মঙ্গলবার পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় মন্ত্রিসভার সদস্যরা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার শিরোনাম করেছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন।

১৯৭৩ সালে কোটা ব্যবস্থা প্রবর্তনের সময় এর মূল লক্ষ্য ছিল সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকা প্রদেশগুলোর লোকজন যেন পিছিয়ে না থাকে। কিন্তু গত চার বছরে এই ব্যবস্থাটি কার্যকর হয়নি। সরকারগুলোও সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে এর মেয়াদ বাড়াতে সক্ষম হয়নি।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে কোটা ব্যবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর বদলে বরং বিষয়টি নিয়ে পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি। আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রীরা বলেন, শুধু লোকজনকে চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে বেলুচিস্তান ও কেন্দ্র শাসিত উপজাতীয় এলাকার মতো অঞ্চলের লোকদের অপেক্ষাকৃত অগ্রসর অঞ্চলের মানুষের সমান পারদর্শী করে তোলা সম্ভব নয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিয়ে ডন-এর সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বৈঠকে প্রদেশভিত্তিক কোটা ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি অবহেলিত এবং প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অবকাঠামো এবং আশ্রয়ের মতো মৌলিক সুবিধাগুলোর উন্নয়নের ব্যাপারে একমত হয়েছেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।