আনাদোলু পোস্ট

কিরকুকের সামরিক ঘাঁটির দখল নিলো ইরাকি বাহিনী

Anadolu Postকুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার নিয়ন্ত্রিত কিরকুকের একটি বিমান ঘাঁটির দখল নিয়েছে ইরাকের সরকারি বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে ইরাক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটে পর কিরকুক দখলে অভিযানের শুরুতেই বড় ধরনের জয় পেলো সরকারি বাহিনী। এ বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার শিরোনাম করেছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু পোস্ট।

দক্ষিণের তেলখনিগুলোসহ কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিরকুকের 'বড় অংশ' নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে ইরাকের সরকারি বাহিনী। সহিংসতা থেকে বাঁচতে হাজর হাজার মানুষ কিরকুক থেকে পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের কুর্দিরা বাগদাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোটের আয়োজন করে। কিরকুক শহরটি কুর্দিস্তানের মধ্যে অবস্থিত না হলেও কুর্দিরা এ শহরটিকে তাদের প্রাণকেন্দ্র বলে মনে করে। বিচ্ছিন্নতার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটে এ শহরের কুর্দিরাও অংশ নিয়েছিল। স্বাধীনতার পক্ষে বিপুল ভোট পড়ার পর থেকেই কুর্দিস্তানের সঙ্গে ইরাক সরকারের সংঘাত দানা বাঁধতে শুরু করে।

কুর্দি বাহিনীর হাত থেকে কিরকুকের পুনর্দখল করে নিতে এক অভিযান শুরু করার পর প্রায় বিনা বাধায় সরকারি বাহিনী শহরে প্রবেশ করে। অভিযান শুরুর একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে ইরাকি সশস্ত্র যানগুলো সরকারি দফতরগুলোর দখল নেয়।

স্থানীয় সরকারের সদর দফতরে ইরাকি পতাকা উড্ডয়নের খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। স্থানীয়দের বরাতে তারা জানিয়েছে, অভিযান শুরুর একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে সোমবার বিকালে ইরাকি এলিট বাহিনীর সশস্ত্র যানের বহর প্রাদেশিক সরকারের সদরদফরগুলো দখল করে নেয়।

ইরাক সরকার বলছে, পেশমার্গা যোদ্ধারা কোনও ধরনের যুদ্ধ ছাড়াই এ অভিযান থেকে পিছু হটেছে। তবে কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার কিরকুকে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা হাতছাড়া হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে।