গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার

শিগগিরই চীন সফরে যাচ্ছেন সু চি

রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শিগগিরই চীন সফরে যাচ্ছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার খবরটি শিরোনাম প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করেছে।

সোমবারের গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের প্রথম পাতা

খবরে বলা হয়েছে, চীনে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বনেতাদের উচ্চ পর্যায়ের সিপিসি ডায়লগে যোগ দেবেন সু চি। তার এই সফরের লক্ষ্য থাকবে মিয়ানমার ও চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করা।

দেশটির আরেকটি সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার টাইমস জানিয়েছে, সু চির কার্যালয়ের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন নভেম্বরের শেষ দিকে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে চীন সফরে যাবেন।

জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আসিয়ান সম্মেলনে সু চিকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি। সু চি আমন্ত্রণ গ্রহণ করে চীন সফরে সম্মতি দিয়েছেন।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউ কিয়াউ জিয়া সু চির সফরের আলোচ্য ও নির্দিষ্ট তারিখ জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এদিকে, চীন সফর শেষে মিয়ানমার পৌঁছেছেন দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং। সফরে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে জানান,  মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি চীন শ্রদ্ধাশীল। একই সঙ্গে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ শান্তি প্রক্রিয়া গভীর মনোযোগে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

উভয়দেশের ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে চীনা প্রেসিডেন্ট মিয়ানমারের সঙ্গে কৌশলগত যোগাযোগ ও একে অন্যের উদ্বেগকে বিবেচনায় নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। অবশ্য কেউই মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলেননি।

উল্লেখ্য, এ বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার পর রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান জোরদার করে মিয়ানমার। এ অভিযানের পর ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞের অভিযোগ এনেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বলছে, রোহিঙ্গারা মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর সমালোচনার মুখে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুই প্রভাবশালী সদস্য চীন ও রাশিয়া।