দ্য গার্ডিয়ান

ট্রাম্পের টুইটের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিবাদ

যুক্তরাজ্যের উগ্রপন্থী সংগঠন ব্রিটেন ফার্স্টের কয়েকটি প্রপাগান্ডা ভিডিও টুইটারে শেয়ার করার কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ওয়াশিংটনে নিয়োজিত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতও নিশ্চিত করেছেন, এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসে অভিযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

গার্ডিয়ানের প্রথম পা্তা
সম্প্রতি ব্রিটিশ উগ্র-ডানপন্থী গোষ্ঠী ‘ব্রিটেন ফার্স্টের’ পোস্ট করা তিনটি মুসলিমবিদ্বেষী ভিডিও রিটুইট করেছেন ট্রাম্প। আর ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের চাপের মুখে বুধবার ট্রাম্পের ওই কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন থেরেসা মে। এ পদক্ষেপকে ‘ভুল হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। 

উগ্র-ডানপন্থি ব্রিটিশ ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) সাবেক সদস্যরা ২০১১ সালে ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ গোষ্ঠীটি তৈরি করেছেন। যে ভিডিওগুলো ট্রাম্প শেয়ার করেছেন সেগুলো ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ গোষ্ঠীর উপনেতা জায়দা ফ্রানসেনের পোস্ট করা। প্রথম ভিডিওতে দেখা যায়, এক মুসলিম শরণার্থী ক্রাচে ভর দিয়ে থাকা এক ওলন্দাজ বালককে আঘাত করছে। এরকম আরও দুটি ভিডিও টুইট করেন ফ্রানসেন। সেগুলোর একটিতে দেখা যায় এক দল লোক এক বালককে ছাদ থেকে ফেলে দিচ্ছে এবং আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় একজন ভার্জিন ম্যারির ভাস্কর্য নষ্ট করছে। দুটি ভিডিওতেই আক্রমণকারী ব্যক্তিদেরকে মুসলিম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেই ভিডিওগুলোই রিটুইট করেন ট্রাম্প। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা শুরু হয়। থেরেসা মেকে আহ্বান জানানো হয় তিনি যেন ট্রাম্পের রিটুইটের নিন্দা করেন। অবশেষে চাপের মুখে বুধবার ডাউনিং স্ট্রিট জানায়,ট্রাম্পের পদক্ষেপ ভুল।

জর্দান সফরে থাকা থেরেসা মে বৃহস্পতিবারও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আম্মানে তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করি কথাটা সত্য, কিন্তু তার মানে এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভুল কিছু করে আমরা তা নিয়ে বলতে ভয় পাব। তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া করব না। আমি মনে করি ব্রিটেন ফার্স্ট এর টুইট রিটুইট করা ভুল কাজ। ব্রিটেন ফার্স্ট একটি বিদ্বেষী সংগঠন। এটি আমাদের সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বিভাজন ও অনাস্থা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।’

তবে আগামী বছর ট্রাম্পের সম্ভাব্য ব্রিটেন সফরের ওপর এ ঘটনার প্রভাব পড়বে না বলে থেরেসা মে’র কার্যালয় থেকে দাবি করা হয়েছে। ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, ট্রাম্পকে দেওয়া সেই আমন্ত্রণ এখনও বজায় আছে।