গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার

দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করবে চীন-মিয়ানমার

রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে জাতিগত নিধনযজ্ঞের অভিযোগে আন্তর্জাতিক সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি চীন সফরে রয়েছেন। শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর উভয় দেশের পক্ষ থেকে সম্পর্ক জোরদার করার ঘোষণা দেওয়া হয়। শনিবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার খবরটি শিরোনাম প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করেছে।

শনিবারের গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি আয়োজিত রাজনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার চীন পৌঁছান সু চি। শুক্রবার দুই নেতার বৈঠকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার আশ্বাস দেন শি জিনপিং। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের কথা বলেন সু চি। মিয়ানমার সরকার শান্তির পক্ষে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শি জিনপিং কিংবা সু চি কেউই চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি। সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা ইস্যুতে গোটা বিশ্বে সমালোচিত হলেও শুরু থেকেই মিয়ানমারের পাশে রয়েছে চীন। কিন্তু দেশটির সঙ্গে সম্পৃক্ত বাড়াচ্ছে বেইজিং। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংকট মোকাবিলায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তিন ধাপের সমাধান প্রস্তাব করেছেন। নেপিদোতে সাম্প্রতিক এক সফরে এ প্রস্তাব দেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 
গত সপ্তাহে চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের জেনারেল লি জুয়োচেং মিয়ানামরের সেনাপ্রধান মিন অং হলেইংকে বলেছেন, দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর উচিত যোগাযোগ জোরদার করা। গত সপ্তাহে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিন অং হলেইং।