দোকলাম সীমান্তে প্রায় ১৬০০-১৮০০ চীনা সেনা স্থায়ীভাবে অবস্থান করছে বলে ধারণা করছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে করা খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিকিম-ভুটান-তিব্বত ত্রিমুখী জংশনের কাছে দোকলাম এলাকায় এখন প্রায় ১৬০০-১৮০০ সেনা স্থায়ী অবস্থান করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় নিরাপত্তা সূত্র দাবি করেছে, ওই এলাকায় দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ এবং রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কাজ করছে চীনা সেনারা। সেখানে তাঁবুও তৈরি করা হচ্ছে।
ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী সূত্র জানাচ্ছে, ভারত এই এলাকায় গ্রীষ্মের সময় চীনকে রাস্তা বানাতে দেয়নি। আটকে দিয়েছিল। এবার শীতে চীনের সরকার ভুটানের সঙ্গে বিবাদমান এই এলাকায় সেনা মোতায়েন করে ফের ভারতের উপরে চাপ তৈরি করতে চাইছে।
এর আগে দোকলাম এলাকায় প্রতিবছরের এপ্রিল-মে ও অক্টোবর-নভেম্বর মাসে চীনা সেনারা অবস্থান নিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতো। ঘাঁটি গাড়তো। আবার ফিরে যেত। ভারতীয় নিরপত্তা বাহিনীর এক সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, দোকলামে ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে ৭৩ দিনের উত্তেজনা ২৩ আগস্ট শেষ হয়। ওই ঘটনার পরে আবারও পিএলএ সেনাদের দেখা যাচ্ছে, আমরা ধারণা এই শীতে ভুটানি এলাকায় এটাই প্রথম চীনা উপস্থিতি।
উল্লেখ্য, ওই এলাকায় অচলাবস্থা চলার পরে মধ্যস্থতা হয় আলোচনার মাধ্যমে। ভারত-চীন দুই পক্ষের সেনাই তখন সরে যায়।