ডন

পাকিস্তানের অপহৃত যুবকদের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির প্রমাণ মেলেনি

পাকিস্তানে অপহৃত পাঁচ ব্লগারের বিরুদ্ধে ‘ব্লাসফেমি’ বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে রায় দিয়েছে দেশটির আদালত। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্লগে লেখালেখি করা এসব যুবক নিখোঁজ হন। তারা তাদের লেখায় দেশটির ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতেন। পাকিস্তানের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ‘ডন’ শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) খবরটিকে শিরোনাম করেছে।

‘ডন’ পত্রিকার প্রচ্ছদ (২৩-১২-১৭)

খবরে বলা হয়, অপহৃত যুবকদের মধ্যে চারজন ফিরে এসে তাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। তবে কেউ তাদের অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। সরকার ও সামরিক বাহিনীর পক্ষও তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

শুক্রবার পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) প্রধান বশির আহমেদ আদালতে জানান, অভিযুক্ত কারও বিরুদ্ধেই ধর্ম অবমাননা বা ব্লাসফেমির প্রমান পাওয়া যায়নি। এরপর বিচারপতি শওকত আজিজ সিদ্দিকী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেকোনও ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন।

ওই যুবকদের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির মামলা দায়েরকারী আইনজীবীদের একজন তারিক আসাদ বলেন, ‘এফআইএ কর্মকর্তারা আদালতকে জানিয়েছেন, তাদের কেউ ব্লাসফেমিতে জড়িত নয়।’ ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘নিরাপরাধ কাউকে ব্লাসফেমির মতো মামলায় জড়ানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক।’

জানুয়ারিতে ওই যুবকরা নিখোঁজ হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ আনা হয়। সে সময় তাদের নানা ধরনের হুমকিও দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বছরের শুরুর এই আলোচিত ঘটনা বছরের শেষ দিকে এসে নিষ্পত্তি হল।