নিউ ইয়র্ক টাইমস

এশিয়ার দেশগুলোতে পুষ্টিবিদদের আর্থিক সহায়তা দেয় বিভিন্ন খাবার কোম্পানি

 

 

প্রায় তিন দশক ধরে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষ মোটা হয়ে পড়ছে। এসব দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় অর্ধেকই স্থুলকায়। এসব দেশে নিজেদের পণ্যের বাজার সৃষ্টির জন্য বিশ্বের বড় বড় খাবারের কোম্পানিগুলো পুষ্টিবিদদের আর্থিক সহায়তা করছে। তাদের মাধ্যমে দীর্ঘদিনে তারা মানুষের খাবারের অভ্যাসেও পরিবর্তনে এনে ফেলেছে। মালয়েশিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘নিউট্রিশন সোসাইটি অব মালয়েশিয়া’ এক গবেষণায় এই তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) খবরটিকে তাদের প্রধান শিরোনাম করেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রচ্ছদ (২৩-১২-১৭)

প্রতিবেদনে গবেষণাটিতে দেখানো হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন খাবার বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান এশিয়ার দেশগুলোতে তাদের ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তাদের পণ্যের বাজার দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বের বড় বড় খাদ্য কোম্পানিগুলোর সঙ্গে পুষ্টি বৈজ্ঞানিক, নীতিনির্ধারক ও অ্যাকাডেমিক সোসাইটির গভীর আর্থিক অংশীদারিত্বের মাধ্যেমে তারা এ কাজে সফল হয়েছে।

নিউট্রিশন সোসাইটি অব মালয়েশিয়ার প্রধান ড. টি এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। গবেষণায় দেখা যায়, যেসব শিশু সকালের খাবারে তরল খাবার নেয় তারা কাজের বেলায় বেশি তৎপর আর কম্পিউটার বা টেলিভিশনের সামনেও কম সময় ব্যয় করে। আবার মালয়েশিয়াসহ  এশিয়ান দেশগুলোর নামি-দামি খাবারের দোকানের খাদ্য তালিকা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও নেসলে, পেপসিকো জাতীয় কোম্পানিগুলোর ভূমিকার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

কোম্পানিগুলো খাদ্য বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে তহবিল দেয়, পণ্ডিত ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতা করে একই সঙ্গে তাদের পণ্যের প্রচারণা চালায়। এভাবে তারা তাদের পণ্যের বাজার বাড়ায়। গবেষণা দেখা গেছে, শুধু মালয়েশিয়ায় গত ৫ বছরে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের বিক্রি ১০৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। আর এসব খাদ্যাভাস্যের কারণে এশিয়ার দেশগুলোতে মুটিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ‍দিন দিন বাড়ছে।