দ্য স্টার

ওমরাহ করতে গিয়ে সৌদি আরবে আটকা পড়লেন ৪৫৩ মালয়েশীয়

ট্রাভেল এজেন্সির প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন ৪৫৩ জন মালয়েশীয় নাগরিক। একটি ট্রাভেল এজেন্সির দেওয়া প্রায় ৫০ শতাংশ ছাড়ের একটি প্যাকেজের আওতায় ওমরাহ করতে গিয়ে মক্কায় আটকা পড়েছেন তারা। ওমরাহ পালনকারী এসকল ব্যক্তির জন্য ফিরতি ফ্লাইট নির্ধারণ করেনি ট্রাভেল এজেন্সি। আর সেকারণে পাঁচদিন ধরে ভোগান্তিতে আছেন ৪৫৩ জন মালয়েশীয়। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এই খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার।

দ্য স্টারের প্রথম পাতা
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওমরাহ শেষ করে পাঁচদিন আগেই দেশে ফেরার কথা ছিল ৪৫৩ জন মালয়েশীয়র। ২২ ডিসেম্বর মদিনায় প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যানও তারা। কিন্তু তাদেরকে নিয়ে কোনও ফ্লাইট রওনা করলো না। ২৬ ডিসেম্বর আবারও বিমানবন্দরে যান তারা। কথা ছিল, সৌদি সময় রাত দশটার দিকে অন্য একটি ফ্লাইটে তাদের কুয়ালালামপুরে নেওয়া হবে। কিন্তু আবারও হতাশ হতে হলে ওমরাহ পালনকারী ওই মালয়েশীয় দলটিকে।

ইজুরা নামে ভুক্তভোগীদের একজন জানান, প্রায় ৫০ শতাংশ ছাড়ের একটি প্যাকেজ ট্যুরের আওতায় তারা ১১ ডিসেম্বর সৌদি আরবে রওনা করেন। তিনি জানান, আগে অন্য নামে কাজ করতো এজেন্সিটি কিন্তু পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ফেলে। ইজুরা জানান, সাধারণত এই প্যাকেজের মূল্য ৬৮০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। তবে ছাড়ের কারণে তাদের কাছ থেকে ৩৮০০ রিঙ্গিত নেওয়া হয়। বলা হয়েছিল, বাকিটা ডোনেশনের অর্থ থেকে মেটানো হবে।

মক্কা থেকে ইজুরা আরও বলেন, যাত্রার শুরু থেকেই তাদেরকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর যাত্রা করার কথা থাকলেও তা হয়নি। পরে অন্য একটি ট্রাভেল এজেন্সির নামের আওতায় ১১ ডিসেম্বর একটি চার্টার্ড বিমানে করে ৪০০রও বেশি যাত্রী নিয়ে রওনা করা হয়।

মালয়েশিয়ার ওমরাহ ও হজ বিষয়ক ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দাতুক সেরি রাজালি বলেন, ট্রাভেল এজেন্সিটির লাইসেন্স নেই। আগেও প্রতারণার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এমনই একটি এজেন্সি নাম পাল্টে এই কাজ করেছে। তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়ায় কেবল ২৬৪টি এজেন্সির লাইসেন্স আছে।