আনাদোলু পোস্ট

আত্মঘাতী হামলায় রক্তাক্ত কাবুল

আবারও আত্মঘাতী হামলায় রক্তাক্ত হলো আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। সংবাদ সংস্থা আফগান ভয়েস এবং শিয়া সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তেবিয়ান সেন্টারের কার্যালয়ের কাছে চালানো ওই বোমা হামলার নিহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। এ বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার শিরোনাম করেছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু পোস্ট।
Anadolu Postবৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে আফগান ভয়েস এবং তেবিয়ান সেন্টারের কার্যালয়ের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, সম্ভবত একজন আত্মঘাতী এ হামলা চালিয়েছে। পরে জঙ্গিদের মুখপাত্র 'আমাক'-এ আইএস দাবি করেছে, তেবিয়ান সেন্টারে আত্মঘাতী হামলা চালানোর আগে সেখানে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

আফগান ভয়েসের এক সাংবাদিক জানান, তিনি একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। আফগান ভয়েসের প্রবেশপথেও একটি বিস্ফোরণ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আফগান অ্যাক্টিভিস্টরা তেবিয়ান কালচারাল সেন্টারে একটি বৈঠকের জন্য জড়ো হলে সেখানে এ আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়।

আফগানিস্তানের উপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র নাসরাত রাহিমি বলেন, ‘তাবিয়ান কালচারাল সেন্টারটি হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। আফগানিস্তানে সোভিয়েত অভিযানের ৩৮ তম বার্ষিকী পালনের জন্য সেখানে এক অনুষ্ঠান চলার সময় বোমাটির বিস্ফোরণ হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, প্রচণ্ড বিস্ফোরণে পার্শ্ববর্তী আফগান ভয়েসের ভবন ভেঙে গেছে।’

আফগান জার্নালিস্টস সেফটি কমিটি (এজেএসসি) হামলার নিন্দা জানিয়েছে। টুইটারে এজেএসসি জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা করার জন্য তাদের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

এর আগে গত মে মাসে জালালাবাদে আফগানিস্তানের একটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলায় ৬ জন নিহত হয়। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস। নভেম্বরে বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন শামশাদ টিভিতে আইএস এর হামলায় অন্তত একজন নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হয়। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে টোলো নিউজের কর্মীদের বহনকারী একটি গাড়িতে হামলায় ৭ জন নিহত হয়। ২১ অক্টোবর কাবুলের শিয়া মসজিদে হামলায় ৩৯ জন নিহত হয়। ওই হামলারও দায় স্বীকার করে আইএস।