ডন

পাকিস্তানে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা কর্মকর্তা-বিচারকদের তালিকা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

পাকিস্তানে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা ও বিচারকদের মধ্যে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তাদের বিস্তারিত তালিকা চেয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার অন্য একটি মামলার শুনানির সময় সংস্থাপন বিভাগের সচিব মারুফ আফজালকে এই আদেশ দেন। জাতীয় বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে ১৭ থেকে ২২ গ্রেডের কর্মকর্তাদের এক পাক্ষিক তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। পাকিস্তানের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ‘ডন’ খবরটিকে তাদের শিরোনাম করেছে।  

Capture

খবরে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্রীয় শরীয়াহ আদালত ও পাঁচটি হাইকোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ আদালতের বিচারপতি বা বিচারকদের মধ্যে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তাদেরও তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব তালিকা সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে হবে।

২০১২ সালে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার দায়ে ১১ জন সংসদ সদস্য ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যকে অযোগ্য ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। এর মাধ্যমে দেশটিতে দ্বৈত নাগরিকত্বধারী আইনপ্রণেতা নির্বাচন হওয়ার পথ চিরতরে রুদ্ধ হয়ে যায়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইফতেখার মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন। ওই আইনপ্রণেতাদের সরকারের কাছ থেকে নেওয়া অর্থও ফেরত দিতে বলা হয়েছিল।

ওই সময় সংসদে বিচারকদের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সে সময় সুপ্রিম কোর্ট একটি  বৈঠক শেষে জানিয়েছিল বিচারকদের মধ্যে কারও দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই। তবে বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নিয়ে নতুন অবস্থান নিলো। এবার সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিচারকদের মধ্যে কারও দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।