দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

অচলাবস্থা কাটলো, রয়ে গেলো সংঘর্ষের বাস্তবতা

আরসব মার্কিন সংবাদমাধ্যমের মতো করেই ২৩ জানুয়ারি তারিখের দৈনিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসও প্রাধান্যের শীর্ষে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের শাটডাউন ইস্যুটি। ‘অচলাবস্থা কেটে গেছে, রেখে গেছে ড্রিমার প্রশ্নে সংঘর্ষের বাস্তবতা’ শিরোনামে দিনের শীর্ষ প্রতিবেদন রচনা করেছে তারা।
২৩ জানুয়ারি তারিখের দৈনিকে নিউ ইয়র্ক টাইমস

প্রধান শিরোনামের অধীনে দুইটি সংবাদ-বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। ‘দর কষাকষির আশায় দ্রুতগতির আত্মসমর্পণ’ শিরোনামের বিশ্লেষণটি হাজির করেছেন কার্ল হালসে। ওই বিশ্লেষণ অনুযায়ী সপ্তাহান্তে এসে স্পষ্ট হয়েছে যে ‘অভিবাসন’ প্রশ্নে ডেমোক্র্যাটরা বাজেট ছাড়ে অসহযোগিতা করে ভুল করেছিল। সপ্তাহান্তে এসে তারা রিপাবলিকানদের কাছ থেকে অভিবাসন ইস্যুতে একটি শক্ত বিতর্কের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বটে। তবে এই প্রশ্নে ছাড় দেওয়ার কারণে দলের অপেক্ষাকৃত উদার ও বামপন্থী অংশের বিরাগভাজন হয়েছে ডেমোক্র্যাটরা।

সিনেট ঐক্যে উপেক্ষিত অভিবাসন প্রশ্ন শিরোনামে অপর বিশ্লেষণটি হাজির করেছেন শার্লি স্টোলবার্গ ও থমাস ক্যাপলান। তাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী তরুণ অনিবন্ধিত অভিবাসীদের ভাগ্যের প্রশ্নকে উপেক্ষা করেই সোমবার স্বল্পমেয়াদী বাজেট পাস হয়েছে। পাস হওয়া বাজেট ডেমোক্র্যাটদের একটা বড় অংশকে আশাহত ও ক্ষুব্ধ করেছে বলে ওই বিশ্লেষণে দাবি করেছেন তারা। এর বিপরীতে হাজির করেছেন পরিসংখ্যানিক প্রশ্ন। দেখিয়েছেন, সিনেটে থাকা ডেমোক্র্যাট ভোটারদের এক তৃতীয়াংশ, এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এর ডেমোক্র্যাট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বাজেট পাসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ওই বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সিনেট আর কংগ্রেসে ‘ড্রিমার অভিবাসন’ প্রশ্নটি নিয়ে ভয়াবহভাবে বিভক্ত। তবে ইস্যুটি নিয়ে তৎপর উভয় পক্ষেরই একটা ঐক্যের জায়গাও আছে। তা হলো, উভয় পক্ষই মনে করে ট্রাম্পের সমস্যাটি জিইয়ে না রেখে একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত।