ডন

পাকিস্তানে জয়নাব হত্যার ঘটনায় মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের আদালতে তলব

পাকিস্তানের কাসুরে ‍শিশু জয়নাবকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় সহায়তার জন্য ১২ মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে তলব করেছে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত। রবিবার মামলার শুনানিতে তাদের উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। পাকিস্তানের শীর্ষ দৈনিক ‘ডন’ খবরটিকে তাদের প্রধান শিরোনাম করেছে।

Capture

৪ জানুয়ারি কোরআন ক্লাস থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হওয়ার পর ৯ জানুয়ারি পাকিস্তানের কাসুর শহরের একটি আবর্জনার স্তুপ থেকে পাওয়া যায় শিশু জয়নাবের মৃতদেহ। ময়না তদন্তে হত্যা ও ধর্ষণের তথ্য নিশ্চিতের পর ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায় একই অপরাধী আগেও সাতটি শিশু ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত। গত ২৩ জানুয়ারি পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শাহাবাজ শরিফ ঘোষণা দেন ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পর এক অপরাধীকে ধরতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

আসামি গ্রেফতারের পর পাকিস্তানের পরিচিত টেলিভিশন উপস্থাপক ড. শহিদ মাসুদ অভিযোগ তোলেন ইমরান নামের ওই অপরাধী পাঞ্জাবের একজন মন্ত্রী সমর্থিত শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তবে তদন্তকারীরা তেমন কোনও সংশ্লিষ্টতা এখন খুঁজে পায়নি। এরই ধারাবাহিকতায় সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে ডাকা হলো মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের।

প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নেসারের আদালতে উপস্থিত থাকতে ডাক পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন, ডনের প্রধান নির্বাহী হামিদ হারুন, দ্য নিউজ এন্ড জাংয়ের প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক রমিজা মাজিদ নিজামি, টেলিভিশন উপস্থাপক হামিদ মিরসহ ১২জন।

সম্প্রতি পাকিস্তানের টিভি উপস্থাপক ড. শহিদ মাসুদ তার অনুষ্ঠানে দাবি করেন, জয়নাবের সন্দেহভাজন হত্যাকারী একটি আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের সঙ্গে জড়িত এবং তার ৩৭টি ফরেন কারেন্সি একাউন্ট রয়েছে। তবে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান ও জয়নাবের হত্যা তদন্তে গঠিত যৌথ তদন্ত দল জানায় ইমরানের ব্যাংক একাউন্ট বা ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ তারা পাননি। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) শহিদ মাসুদের বক্তব্যটিকে আমলে নেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি মিঞা সাকিব নিসারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ পাঞ্জাব পুলিশকে এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেয়।