দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে দিল্লি বিস্ফোরণের প্রধান সন্দেহভাজন গ্রেফতার

২০০৮ সালে দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন হোতা এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের (আই এম) সদস্য আরিজ খান ওরফে জুনেইদকে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১০ বছর ধরে পালিয়ে থাকার পর অবশেষে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আরিজকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ খবরটিকে প্রথম পাতার শিরোনাম করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রথম পাতা
২০০৭ সালের উত্তর প্রদেশ বিস্ফোরণ, ২০০৮ সালে জয়পুরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ, ২০০৮ সালের বাটলা হাউজ সংঘর্ষসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে আরিজের বিরুদ্ধে। ২০০৮ সালেই নেপালে পালিয়ে যায় আরিজ। আরিজকে ধরতে ১৫ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ইন্টারপোলের রেড নোটিশও জারি হয়।

দিল্লির পাহাড়গঞ্জ, বরাখাম্বা রোড, কনট প্লেস, গ্রেটার কৈলাশ এবং গোবিন্দপুরিতে ২০০৮ সালে বিস্ফোরণের ছদিন পর জামিয়া নগরের বাটলা হাউসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্যদের। পুলিশ জানায়, আতিফ আমিন খানসহ আরেক সন্ত্রাসবাদী পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারালেও পালিয়ে যায় আরিজ। জামিয়া নগর থেকে পালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিল আরিজ। তাকে ধরতে অনেক বার অভিযান চালিয়েছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু, প্রতিবারই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় সে। পরে শোনা যায়, সালিম নাম নিয়ে নেপালের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করেছে সে। এমনকি নেপালের বিভিন্ন স্কুলে আরিজ শিক্ষকতার কাজও করেছে বলে খবর পান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। নেপালেই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রিয়াজ ভটকলের সান্নিধ্যে আসে আরিজ। ২০১৪ সালে সে পাড়ি দেয় সৌদি আরব। সেখানে জঙ্গি সংগঠনের নানা কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে। ২০১৭ সালের মার্চে আবারও নেপালে ফিরে আসে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরনো সঙ্গীদের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার ভারত-নেপাল সীমান্তে আসে আরিজ। তখনই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।