সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেছে পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত ও কানাডা। শুক্রবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সফররত কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে হিন্দুস্তান টাইমস খবরটি শিরোনাম প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করেছে।
ট্রুডোকে পাশে রেখে মোদি বলেছেন,‘রাজনৈতিক স্বার্থে যারা ধর্মের অপব্যবহার করে, বিচ্ছিন্নতাবাদে ইন্ধন দেয়, তাদের কোথাও স্থান হতে পারে না।’ ট্রুডোও বলেছেন, ভারতকে তারা বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও বিশ্বস্ত অংশীদার বন্ধু হিসেবে মনে করে এবং বাণিজ্যের নতুন সুযোগ চায়।
ট্রুডোর সফরে জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ মোট ৬টি চুক্তি হয়েছে ভারত ও কানাডার মধ্যে। গুরুত্ব পেয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সম্পর্ক, অসামরিক ক্ষেত্রে পরমাণু সহযোগিতা, শিক্ষা, মহাকাশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলি।
‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ খালিস্তান বিদ্রোহীদের প্রতি ‘সহানুভূতি’ দেখানোর অভিযোগে ট্রুডো ভারতে অসন্তোষের মুখে পড়েছিলেন। ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাকে উপেক্ষা করছিলেন। যদিও ভারত সফরে এসে ট্রুডো শীতল অভ্যর্থনা পেয়েছেন, এমন অভিযোগ দুই পক্ষই অস্বীকার করেছে।
রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিলেন কৃষিমন্ত্রী। অন্য দেশের সরকার প্রধানরা এলে মোদি নিজেই তাদেরকে অভ্যর্থনা জানতে যান। কিন্তু ট্রুডোকে তিনি টুইটারে অভ্যর্থনা জানান বৈঠকের আগের দিন। শুক্রবার মুখোমুখি বৈঠক শুরু হওয়ার আগে ট্রুডোকে আলিঙ্গনের সঙ্গে অভ্যর্থনা জানান মোদি।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মোদি জানিয়ে দেন, ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতিকে কেউ চ্যালেঞ্জ করছে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। ট্রুডো মোদিকে আশ্বস্ত করে জানান, কানাডা ভারত বা অন্য কোথাও বিচ্ছিন্নতাবাদ সমর্থন করে না। আমরা দুদেশের নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগকে নিবিড়তর করে তোলার উপরেও জোর দিয়েছি।