ডন

পাকিস্তান সিনেট নির্বাচনে ভোট কেনাবেচার অভিযোগ, তদন্তের আহ্বান

পাকিস্তান পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ সিনেটের নির্বাচনে ভোট বেচাকেনার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৫ মার্চ) এ ব্যাপারে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল পিএমএল-এনসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। সোমবার (৫ মার্চ) এ আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার (৬ মার্চ) এ খবরটিকে প্রধান শিরোনাম করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন।

ডনের প্রথম পাতা
শনিবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ১০৪টি আসনের মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ ৫২ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) পেয়েছে ১৫টি আসন,পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ১২টি আসন। ক্রিকেটার ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পেয়েছে ছয়টি আসন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম-এফ পেয়েছে দুইটি আসন। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পেয়েছে দুইটি আসন। ১০টি আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজের অবস্থান সংহত করেছে মুসলিম লীগ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পিপিপি। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে তেহরিক-ই-ইনসাফ। তবে এরইমধ্যে নির্বাচনে ভোট বেচাকেনার অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ ওঠার পর তদন্তের দাবি তুলেছে খোদ ক্ষমতাসীন দলও।  

সোমবার পিএমএল-এন এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াজ শরিফ শরিফ সিনেট নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ী করেন। তার দাবি, দলগুলো প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সংখ্যক আসন নিশ্চিত করেছে। ভোটারদের মানসিকতার পরিবর্তন কি বিশ্বস্ততা থেকে হয়েছে নাকি এর পেছনে অর্থ ও অন্য কিছুর ভূমিকা আছে তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পিএমএল-এন সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও ভোট বাণিজ্যে লিপ্তদের শনাক্ত করা জরুরি বলে জোর দেন নওয়াজ।

পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ নেতা ইমরান খানও একই আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, সিনেট নির্বাচনে ৪ কোটি রুপি দামেও ভোট কেনা হয়েছে। নিজের দলের লোকজনও ভোট কেনাবেচায় জড়িত ছিল স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের লোকজনও নিজেদের বিক্রি করেছে’। তবে কারও নাম উল্লেখ করেননি ইমরান।

ভোট বেচাকেনার বিষয়টিকে আমলে নেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতি মিঞা সাকিব নিসারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পিটিআই প্রধান। তিনি বলেন, আইন প্রণেতাদের কারা ঘুষ দিয়েছে তা জানা আছে, কিন্তু কারা এ ঘুষ গ্রহণ করেছেন তা শনাক্ত করা যায়নি।